শান্তা পালের শাগরেদকে গ্রেফতার করল পুলিশ

বাংলাদেশের মডেলঅভিনেত্রী শান্তা পালের শাগরেদকেও গ্রেফতার করল কলকাতা পুলিশের গুণ্ডা দমন শাখা। উত্তর ২৪ পরগনার নৈহাটি থানা এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয় সৌমিক দত্ত নামের এক যুবককে। পুলিশ সূত্রে খবর শান্তা পালের কলকাতায় থাকার ব্যবস্থা করেছিল এই সৌমিকই। ভারতের জাল নথি তৈরিতে সৌমিক সাহায্য করেছিল শান্তাকে। শান্তার কাছ থেকেই ওই যুবকের পরিচয় জানতে পারেন তদন্তকারীরা। তারপরই তাকে গ্রেফতার করা হয়। 

পুলিশের একটি সূত্রের খবর, বাংলাদেশের শান্তার সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে আলাপ সৌমিকের। এই তথ্য কলকাতা পুলিশকে দিয়েছেন শান্তা নিজেই। তার কাছ থেকে যে জাল ভারতীয় নথি উদ্ধার হয়েছে সেগুলো সৌমিকই তাকে তৈরিতে সাহায্য করেছিল। এই সৌমিক একা জাল নথি তৈরি করত নাকি আরও কেউ তার সঙ্গে যুক্ত ছিল সেটা খতিয়ে দেখা হবে। 

কিছুদিন আগেই কলকাতা পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয় শান্তা পাল। সে পাসপোর্টের আবেদন করেছিল। কিন্তু পুলিশ ভেরিফিকেশনের সময় সন্দেহ হয়। ঘটনার অভিযোগ দায়ের হয় পার্ক স্ট্রিট থানায়। এরপর দক্ষিণ কলকাতার গল্ফগ্রিন থানার বিক্রমগড়ে একটি ফ্ল্যাট থেকে শান্তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।এরপর এই ঘটনার তদন্তে নামে  কলকাতা পুলিশের গুন্ডা দমন শাখা। 

২০২৩ সাল থেকে কলকাতার বিক্রমগড়ে বাড়ি ভাড়া করে থাকছিলেন শান্তা। পুলিশ সূত্রে দাবি, ভারতীয় বিভিন্ন নথি ছাড়াও, বাংলাদেশের একাধিক পাসপোর্ট ও সেদেশের এক বিমান সংস্থার পরিচয়পত্র, মাধ্যমিকের অ্যাডমিট কার্ড (ঢাকার) মিলেছে তার কাছে। ২০২৩ সালে বাংলাদেশ থেকে যে ভিসা নিয়ে এসেছিল শান্তা তার মেয়াদ ফুরিয়েছে। ফলে নিয়মানুসারে অবৈধভাবে বসবাস করছিল সে। 

তদন্তে এও উঠে এসেছে, শান্তা একটি গেস্ট হাউস বানানোর জন্য ঋণও নিয়েছিলেন। যদিও তা নিজের নামে নয়। তাঁর কলকাতার ভাড়া বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে দুটি আধার কার্ড যার একই নম্বর হলেও একটি কলকাতা ও অন্যটি বর্ধমানের ঠিকানায় রয়েছে। পাওয়া গেছে বর্ধমানের ঠিকানায় শান্তার নামের একটি ভোটার কার্ডও। পুলিশ এখন খতিয়ে দেখছে তিনি আদৌ বর্ধমানে থেকেছেন কি না সে ব্যাপারেও। এদিকে প্রাথমিকভাবে শান্তা জানিয়েছিল, তার কলকাতায় একটা ছোটো ব্যবসা চালুর পরিকল্পনা ছিল। বাংলাদেশে সে অ্যাঙ্কার ও মডেল হিসেবেও কাজ করেছে।  

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

five + 17 =