অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়ারকে শিয়ালদহ কোর্টে নিয়ে যাওয়ার সময় পুলিশকে দেখা যায় গাড়ির মাথায় সজোরে চাপড়াতে। বেশ কিছুক্ষণ ধরে হাত দিয়ে গাড়ির মাথায় শব্দ করতে। এখানেই শেষ নয়, একটানা হর্ন বাজাতেও শোনা যায় ওই গাড়িতে। এই ঘটনায সোমবার প্রশ্ন উঠে গেল, অভিযুক্তের কন্ঠরোধ করতেই কি এমন ঘটনা পুলিশ ঘটাল কি না তা নিয়ে। প্রসঙ্গত, এর আগে প্রিজন ভ্যান থেকে চিৎকার করে অভিযোগ করতে শোনা গিয়েছে আরজি কর কাণ্ডের মূল অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়ারকে। কখনও প্রাক্তন পুলিশ কমিশনারের নাম নিয়ে সরব হয়েছেন। কখনও অভিযোগ তুলেছেন তাঁর নিজের ডিপার্টমেন্টের বিরুদ্ধে। তারপর আদালতে তোলার সময় অভিযুক্তের নিরাপত্তায় বিশেষ ব্যবস্থা নিতে দেখা গিয়েছে। কালো কাচের গাড়িতে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে আদালতে। এরপর সোমবার দেখা গেল আরও এক অদ্ভুত ছবি। গাড়ির মাথা চাপড়াচ্ছে পুলিশ।
এই ঘটনায় আবারও ফিরছে কুণাল ঘোষের স্মৃতি। সারদা কাণ্ডে জেলে থাকাকালীন কুণাল ঘোষকে ঠিক একইভাবে প্রিজন ভ্যান থেকে অভিযোগ জানাতে দেখা গিয়েছিল। আর তারপর কুণাল ঘোষ যাতে বিশেষ কিছু বলতে না পারেন, তার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছিল পুলিশ। একইভাবে আরজি কর কাণ্ডেও একই ছবি। তবে কুণালকে প্রিজন ভ্যানে নিয়ে যাওয়া হত, আর এ ক্ষেত্রে অভিযুক্তকে কালো কাচের গাড়িতে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
চার্জ গঠনের পর শিয়ালদহ কোর্টে প্রতিদিন শুনানি হচ্ছে আরজি কর মামলার। প্রতিদিনই প্রেসিডেন্সি জেল থেকে আদালতে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে অভিযুক্ত সিভিককে।