তৃণমূলের হয়ে নির্বাচন পরিচালনা করল পুলিশঃ শমীক

চার বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচন মিটতেই শাসক দলকে নিশানা করল বঙ্গ পদ্ম শিবির। এই উপনির্বাচন প্রসঙ্গে বিজেপির এ রাজ্যের প্রধান মুখপাত্র তথা রাজ্যসভার সাংসদ শমীক ভট্টাচার্য জানান, ‘তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বের নির্দেশে চার নির্বাচন কেন্দ্রে তৃণমূলের হয়ে নির্বাচন পরিচালনা করল পুলিশ। চার কেন্দ্রেই তৃণমূল প্রার্থীদের জেতাতে পুলিশ যে ভূমিকা পালন করল তা শুধু নিন্দনীয়ই নয়, লজ্জার। নির্বাচনের আগের দিন থেকেই বিজেপি নেতা, কর্মী- সমর্থকদের বুথে না যাওয়ার ব্যাপারে ‘ভয়’ দেখানো হয়েছে।’

তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে বাগদার বিজেপি প্রার্থীর গাড়ি ভাঙচুর ও তাঁকে মারধর করাই শুধু নয়, মানিকতলা থেকে শুরু করে রানাঘাট-সহ অন্যান্য জায়গাতেও শাসক দলের হামলার মুখে পড়তে হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন শমীক। প্রাথমিকভাবে বাগদার বেশ কয়েকটি বুথে রিপোল দাবির পাশাপাশি মানিকতলাতে নতুনভাবে ভোটের দাবিও নির্বাচন কমিশনারের কাছে জানাল বিজেপি। তবে প্রাথমিকভাবে মানিকতলা কেন্দ্রে কলকাতা পুরসভার অন্তর্গত বিভিন্ন ওয়ার্ডের ৮৯ টি বুথে পুনঃনির্বাচনের দাবি জানানো হয় কমিশনের কাছে।‌

ভোট পরিচালনার সঙ্গে যাঁরা যুক্ত তাঁদের সঙ্গে কথা বলে আগামী সময়ে কোন কোন বুথে রিপোল এবং অন্যান্য দাবি-সহ কমিশনের দ্বারস্থ হবে তাঁদের দল বলেও জানান শমীক ভট্টাচার্য। রাজ্যসভার সাংসদ শমীক ভট্টাচার্যের দাবি, ‘লোকসভায় ২৯টা সিট পেয়ে চার উপ নির্বাচনে আরও ‘আক্রমণাত্মক’ তৃণমূল।’ এই পরিস্থিতি চলতে থাকলে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট করেও অবাধ ভোট করা সম্ভব নয়।’ সঙ্গে এ প্রশ্নও তোলেন, ‘প্রার্থীকে দেখলে গো ব্যাক স্লোগান, প্রার্থীর ওপর হামলা এটা কোন রাজনৈতিক সংস্কৃতি?’ যদিও শাসক দল বিজেপির অভিযোগ বা দাবিকে গুরুত্ব দিতে নারাজ। বরং তৃণমূলের দাবি, চার কেন্দ্রেই ভোটে পরাজিত হবে জেনে‌ বিজেপি তৃণমূলের উপর দোষ চাপাচ্ছে বলে মন্তব্য শাসক শিবিরের।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

eighteen − seventeen =