মণিপুরের মহিলাদের নিগ্রহ করার ঘটনায় পুলিশের জালে ধরা পড়েছে ৪ জন। ধৃত এই চারজনেরই ১১ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিল মণিপুর আদালত। এই ঘটনায় অন্য অভিযুক্তদের খোঁজ করা হচ্ছে। একই সঙ্গে ওই দিন আরও কারা মহিলাদের বিবস্ত্র করে রাস্তায় হাঁটিয়েছিল তা ধৃতদের জেরা করে জানতে চাইছে পুলিশ। মণিপুরের পুলিশ জানিয়েছে, গত ৪ মে তারিখের এই ঘটনায় ধৃতদের বিরুদ্ধে অপহরণ, গণধর্ষণ করার মামলাও দেওয়া হয়েছে।
৪ মে ওই ঘটনা ঘটলেও তা জানাজানি হয় গত বুধবার। তারপর থেকেই এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তাল সারা দেশ।প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও জানান, ওই ঘটনায় দেশের ১৪০ কোটি মানুষের মাথা লজ্জায় হেঁট হয়ে গিয়েছে। এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত কাউকেই রেয়াত করা হবে না বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এদিকে মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী এন বিরেন সিং জানান, দোষীরা যাতে সর্বোচ্চ শাস্তি পায় তার জন্য চেষ্টা করা হবে। এদিকে এই ঘটনা নিয়ে শাসক দল, কেন্দ্র এবং মণিপুর সরকারকে নিশানা করেছে বিরোধীরা। নিন্দায় মুখর হয়েছে বলিউড থেকে শুরু করে বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন। একাধিক মহিলা সংগঠনের অভিযোগ, সেই রাজ্যের মহিলাদের সম্মান রক্ষা করতে ব্যর্থ হয়েছে মণিপুরের সরকার। পাশাপাশি অনেকেই এই ইস্যুতে সেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করেছেন। কংগ্রেসের দাবি, প্রধানমন্ত্রীর উচিত মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রীকে বরখাস্ত করা। এদিকে মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী এই ঘটনায় জানান, ‘এই রাজ্যের মানুষ মহিলাদের তাদের মা হিসাবে দেখেন। কিন্তু সেখানেই যেভাবে কয়েকজন দুষ্কৃতী মহিলাদের আক্রমণ করেছে এবং তাদের বিবস্ত্র করে গ্রামের রাস্তায় হাঁটিয়েছে তাতে রাজ্যের সম্মান ধুলোয় মিশে গিয়েছে।’