আরজি করে ১৪ অগাস্ট হামলার ঘটনায় পুলিশি ব্যর্থতার কথা উঠল কলকাতা হাইকোর্টে। কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের পর্যবেক্ষণ, পুলিশের ইনটেলিজেন্স সম্পূর্ণ ব্যর্থ। শুক্রবার আরজি কর মামলার শুনানি শুরু হয়েছে প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের বেঞ্চে। বুধবারের ভাঙচুরের ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে বড়সড় প্রশ্ন তুলে দেয় আদালত। হাইকোর্টের প্রশ্ন, ‘পুলিশ নিজেকে রক্ষা করতে পারছে না। জনতাকে ঠেকাতে পারছে না। আইনশৃঙ্খলা কী ভাবে রক্ষা করবে?’
এদিকে আরজি করের হামলা নিয়ে একাধিক পিটিশন দাখিল হয়েছে হাইকোর্টে। তাই আলাদা করে অতিরিক্ত লিস্ট দেওয়া হয়েছে এই মামলার জন্য। এর পাশাপাশি সেমিনার হলের কাছের ঘর ভাঙা হল কেন তা নিয়েও রাজ্যের কাছে হলফনামা চাইল হাই কোর্ট।
এদিন আদালতে এ সংক্রান্ত মামলার শুনানিপর্বে রাজ্যের তরফে আইনজীবী অমিতেশ বন্দ্যোপাধ্য়ায় বলেন, সাত হাজার বহিরাগত হঠাৎ চলে আসে। ভিডিয়ো দেখানো হবে। পুলিশ যথেষ্ট চেষ্টা করেছে। এই ঘটনায় ডেপুটি পুলিশ কমিশনার আহত হন। ১৫ জন পুলিশ আহত হন। তবে সেমিনার রুমের ক্ষতি হয়নি।
প্রধান বিচারপতি বলেন, একই ঘটনা হয় হনুমান জয়ন্তীতে। ইন্টেলিজেন্স থাকে তো পুলিশের। এটা থেকে স্পষ্ট পুলিশের ইন্টেলিজেন্স সম্পূর্ণ ব্যর্থ। এদিন শুনানিতে রাজ্যের তরফে দাবি করা হয়, বুধবার রাতে হঠাত হাজার সাতেক মানুষ হাসপাতালে ঢুকে পড়ে। ফলে তাঁদের নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়নি। তাতে হাই কোর্টের পালটা প্রশ্ন, কোথাও ১০০ মানুষের জমায়েত হলেও পুলিশের জানার কথা। সেখানে এত মানুষ জড়ো হল অথচ পুলিশ জানল না? আগে থেকে গোটা ঘটনাস্থল কেন নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হল না?
পাল্টা রাজ্যের তরফে জানানো হয়, গোটা কলকাতাতেই বিক্ষোভ ছিল। প্রধান বিচারপতি প্রশ্ন করেন, রাজ্য প্রশাসন সম্পূর্ণ ব্যর্থ।
আর জি করের সেমিনার হলের কাছের ঘরটি ভাঙা নিয়েও এদিন প্রশ্ন তুলেছে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। ডিভিশন বেঞ্চের প্রশ্ন, ওই ঘর ভাঙার এত তাড়াহুড়ো কীসের? এত বড় একটা ঘটনা ঘটেছে, এই পরিস্থিতিতে আপনারা সেখানে ডিস্টার্ব করছেন!” রাজ্য সরকার এদিন আদালতে দাবি করেছে, যে সেমিনার হল থেকে চিকিৎসকের দেহ উদ্ধার করা হয়েছিল, সেই স্থান সুরক্ষিত রয়েছে। রাজ্যকে এই মর্মে হলফনামা দিতে বলেছে হাই কোর্ট। হামলার ফলে হাসপাতালের কোন অংশ কতটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, সেটা নিয়ে হলফনামা দেবে রাজ্য।