বিগত বেশ কয়েকদিন ধরেই সংবাদ শিরোনামে উঠে এসেছে উত্তর দিনাজপুরের চোপড়া। এক মহিলা ও এক পুরুষকে রাস্তায় মারধরের ঘটনায় ইতিমধ্যেই জেলে রয়েছে জেসিবি ওরফে তাজেমুল ইসলাম। তারপরও দুষ্কৃতীরাজ যে সেখানে থামেনি তা আরও একবার প্রমাণিত হল বুধবার রাতের ঘটনায়। এবার এই চোপড়াতেই অভিযানে গিয়ে আক্রান্ত পুলিশ। ধারাল অস্ত্র নিয়ে চলে হামলা। ঘটনায় গুরুতর জখম চার পুলিশ কর্মী।
রাজ্য় পুলিশ সূত্রে খবর, বুধবার গভীর রাতে চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে চোপড়ার আমতলা এলাকায়। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, বুধবার রাতে কোনও একটি অভিযানে যান পুলিশ কর্মীরা। অভিযোগ, সেই সময় তাঁদের উপর ধারাল অস্ত্র দিয়ে হামলা চালায় একদল দুষ্কৃতী। ঘটনায় পুলিশের দুই আধিকারিক, এক কন্সটেবল ও একজন গাড়ির চালক গুরুতর জখম হন বলে খবর। তবে এই ঘটনার পিছনে জেসিবি বাহিনী রয়েছে কি না তা এখনও স্পষ্ট নয়। আহত পুলিশ কর্মীদের নিয়ে উদ্ধার করে শিলিগুড়ি নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এই মুহূর্তে তাঁরা সেখানকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এ প্রসঙ্গে প্রাক্তন পুলিশ কর্তা অনিল জানা ক্ষোভ উগরে দিয়ে জানান, ‘এক সময় মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন কেন্দ্রীয় এজেন্সি গেলে তাদের বাধা দাও। এখন দুষ্কৃতীদের সেই অভ্যাস হয়ে গিয়েছে। নিজের পুলিশকেই মারছে। কেন্দ্রীয় পুলিশকে মারতে শেখানো হয়েছে, এখন নিজের পুলিশ মার খাচ্ছে এটা তো ঠিকই হয়েছে। এটা হওয়ারই ছিল।’ প্রসঙ্গত, শুধু চোপড়া নয়, বুধবার জলপাইগুড়িতেও পুলিশের উপর গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা। তিন রাউন্ড গুলি চালিয়ে সেখান থেকে পালিয়ে যায় তারা।