পথ দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত এক পুলিশ ইন্সপেক্টর। রবিবার ঘটনাটি ঘটে কলকাতার রেড রোডে। আহত ওই পুলিশ ইন্সপেক্টরের নাম সন্তোষ রায়। এই দুর্ঘটনার পর দ্রুত তাঁকে উদ্ধার করে এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় বলে পুলিশ সূত্রে খবর।
পুলিশ সূত্রে খবর, এদিন বেলা ১টা নাগাদ সন্তোষ রায় নামে ওই ইন্সপেক্টরকে ধাক্কা মারে একটি বাস। যার জেরে গুরুতর আহত হন তিনি। এরপর তাঁকে আহত অবস্থায় নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। কলকাতা পুলিশের ওয়্যারলেস ব্র্যাঞ্চে কর্মরত তিনি। ১৯৯৬ সালে ব্যাচের অফিসার। রিপন স্ট্রিটে তাঁর অফিস। যে বাসটি তাঁকে ধাক্কা মেরেছে, সেটিকে খুঁজে বের করার চেষ্টা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, কিছুদিন আগে ডিউটি করে বাড়ি ফেরার সময় হুগলিতে পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় এক পুলিশ কর্মীর। মৃত ওই পুলিশ কর্মীর নাম কৃষ্ণচন্দ্র মালিক (৫৫)। তিনি চন্দননগর কমিশনারেটের ট্রাফিক বিভাগে কনস্টেবল পদে কর্মরত ছিলেন বলে জানা যায়। উত্তরপাড়া ট্রাফিকে পোস্টিং ছিল কৃষ্ণচন্দ্র মালিকের।
গত ২১ জুলাই অনেক রাত পর্যন্ত ডিউটি করে বাইক চালিয়ে হুগলির দাদপুরে নিজের বাড়িতেই ফিরছিলেন কৃষ্ণচন্দ্র। পোলবা থানার সুগন্ধার গোটু ফুটবল মাঠের কাছে দুর্ঘটনার কবলে পড়েন তিনি। প্রত্যক্ষদর্শীদের অভিযোগ, রাস্তার পাশে হাইড্রেন তৈরির জন্য স্টোনচিপ জড়ো করে রাখা ছিল। সেই স্টোনচিপে ধাক্কা লেগেই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাইক থেকে ছিটকে পড়েন কৃষ্ণচন্দ্র। তড়িঘড়ি উদ্ধার করে চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
প্রসঙ্গত, গত জুন মাসে হাওড়ার সাঁতরাগাছি স্টেশনের কাছে বাসের চাকায় পিষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় আরও এক ট্র্যাফিক পুলিশ কর্মীর। ঘটনায় ঘাতক বাসে ভাঙচুর চালায় স্থানীয়দের একাংশ। পুলিশ এবং স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, হাওড়ার সাঁতরাগাছি স্টেশনের সামনেই বাসের চাকায় পিষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় সচিন রজক নামে ওই ট্রাফিক পুলিশ কর্মীর। অভিযোগ, পার্কিংয়ের সময় ওই ট্রাফিক পুলিশ কর্মীর উপর দিয়ে চলে যায় বাসটি। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে আন্দুলের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। এরপরেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। বাসে ভাঙচুর চালায় উত্তেজিত জনতা।