স্কুল সার্ভিস কমিশনের দফতরে রাতভর আটকে চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদার সহ ২৫ জন। এদিকে মঙ্গলবার সকালে পুলিশ এসএসসি দফতরের ভিতরে ঢুকলে গেলে এবার বাধা দেওয়া হল আন্দোলনকারীদের তরফ থেকে। কারণ, আন্দোলনকারীরা আশঙ্কা করছেন, হয়তো পুলিশ কোনওভাবে চেয়ারম্যানকে দফতর থেকে বাইরে বের করে নিয়ে যেতে পারে। আর সেই কারণেই পুলিশের কোনও আধিকারিক এসএসসি ভবনের সামনে গেলেই, তাঁকে গো ব্যাক স্লোগান দেওয়া হচ্ছে। তাঁকে ফিরে যেতে অনুরোধ করা হচ্ছে।
মঙ্গলবার বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেটের এক আধিকারিককে চাকরিহারাদের তরফ থেকে এ প্রশ্নও করতে শোনা যায়,’আপনি কাকে বাঁচাতে এসেছেন স্যার? আমরা ভাল করে বলছি স্যার ফিরে যান। আপনি গিয়ে আপনার অফিসারকে জানিয়ে দিন।’ যদিও ওই পুলিশ কর্তার বক্তব্য,’আমি বাইরে থেকে ভেতরে ঢুকছি না, আমি দফতরের ভেতরেই ছিলাম।’ শেষমেশ আন্দোলনের মুখে পড়ে বাধ্য হয়েই ফিরত চলে যান ওই পুলিশ আধিকারিক।
পাশাপাশি যে ২৫ জন্ আটকে তাঁদের খাবার দিতে দেওয়া হচ্ছে না কেন সে ব্যাপারে প্রশ্ন তোলা হয় পুলিশের তরফ থেক। সঙ্গে পুলিশের তরফ থেকে জানানো হয়, এখানে জড়িয়ে রয়েছে মানবাধিকারের প্রশ্ন। এরপরই আন্দোলনকারীদের কাছে পুলিশের আর্জি, ‘পুলিশের কাজে বাধা দেবেন না, জল-খাবার আটকাবেন না।’
মঙ্গলবার আন্দোলন চলাকালীন পুলিশকে ঘিরে ‘গো ব্যাক’ স্লোগান ওঠার পর বিধাননগর কমিশনারেটের ডিসিপি অনীশ সরকার আন্দোলনকারীদের বার্তা দেন, এই ধরণের কাজ আইনসম্মত নয়। তাঁর দাবি, এসএসসি ভবনে চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদার সব যাঁরা আটকে আছেন, তাঁদের খাবার, জল দিতে দেওয়া হচ্ছে না। সেক্ষেত্রে মানবাধিকারের একটা প্রশ্ন ব্যাপার আছে। পাশাপাশি, পুলিশকে কাজে বাধা দেওয়া হচ্ছে না বলেও দাবি করেন তিনি। সঙ্গে এও জানান,’শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদে কোনও আপত্তি নেই। তবে কাল থেকে পুলিশ অফিসারদের ধাক্কা দেওয়া হয়েছে, আটকানো হয়েছে। খাবার-জল আটকানো হচ্ছে। পুলিশকে যদি এভাবে কর্তব্য থেকে বিরত করা হয়, তাহলে সেটা আইনসম্মত হবে না।’এরপরই পুলিশের আর্জি, পুলিশকে বাধা দেবেন না। পুলিশ নিজের কাজ করছে। সেটা ঠিক হচ্ছে না। পুলিশকে যেন হেনস্থা না করা হয়।