সরকারি চাকরিতে নিয়োগের আগে পুলিশ ভেরিফিকেশন ও মেডিক্যাল পরীক্ষা সারতে হবে ৩০ দিনে

সরকারি চাকরির নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে বিশেষ নির্দেশিকা রাজ্যের। নিয়োগে যাতে দেরি না হয়, সেই কারণে এই নির্দেশিকা বলে জানানো হয়েছে নবান্নের তরফ থেকে। রাজ্যের একাধিক সরকারি দফতর থেকে নিয়োগ প্রক্রিয়ার দীর্ঘসূত্রিতা নিয়ে অভিযোগ উঠেছিল। সেই বিষয়েই এদিন এই নির্দেশিকা দেওয়া হয়। কারণ, যে নিয়োগ হচ্ছে সেখানেও প্রার্থীর পুলিশ ভেরিফিকেশন ও মেডিক্যাল পরীক্ষার রিপোর্ট পেতে অসম্ভব দেরি হচ্ছে। ফলে চাকরিপ্রার্থীদের নিয়োগের ক্ষেত্রে দেরি হচ্ছে। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে নির্বাচিত চাকরি প্রার্থীর ভেরিফিকেশন রিপোর্ট দেওয়ারকথা সরকারি নির্দেশিকায় বলা রয়েছে। কিন্তু কার্যত গুরুত্ব পাচ্ছিল না। ফলে চাকরির পরীক্ষায় মনোনীত হওয়ার পরও ভেরিফিকেশন রিপোর্ট নিয়ে হয়রানির শিকার হচ্ছিল প্রার্থীরা। তাই এবার মুখ্যসচিব নির্দেশিকা দিয়ে সমস্ত দফতরকে সতর্ক করলেন। রাজ্যের সমস্ত দফতরকে মুখ্যসচিবের দফতর থেকে এই নির্দেশিকা পাঠানো হয়েছে।

সরকারি নিয়ম অনুযায়ী চাকরিপ্রার্থীদের নিয়োগের আগে স্বাস্থ্য পরীক্ষা এবং পুলিশের ভেরিফিকেশন ৩০ দিনের মধ্যেই করে নেওয়ার কথা। অর্থাৎ প্রার্থী যখন নিয়োগপত্র পাবেন, তার থেকে ৩০ দিনের মধ্যেই সম্পূর্ণ করার কথা ওই দুই প্রক্রিয়া। কিন্তু সম্প্রতি বেশ কিছু ক্ষেত্রে পুলিশি যাচাই প্রক্রিয়া এবং মেডিক্যাল রিপোর্ট পেতে দেরি হওয়ার জন্য চাকরিপ্রার্থীদের নিয়োগে দেরি হচ্ছিল বলে অভিযোগ ওঠে।

এবার থেকে এই সময়সীমার মধ্যে যাচাই প্রক্রিয়া শেষ না করলে প্রথমে দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিককে সতর্ক করবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।তারপরও একইরকম দেরি হলে তাঁর বিরুদ্ধে শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে শাস্তিমূলক পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

মুখ্যসচিবের নির্দেশিকায় পরিষ্কার করে দফতরগুলিকে বলা হয়েছে, ‘ওয়েস্ট বেঙ্গল পাবলিক সার্ভিস কমিশনঅর্থাৎ পিএসসি বা সংশ্লিষ্ট নিয়োগ কর্তৃপক্ষ থেকে সুপারিশপত্র আসার পরে সঙ্গে সঙ্গে তা চাকরিপ্রার্থীদের জানাতে হবে। ওয়েবসাইটে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে এবং ইমেল মারফত চাকরিপ্রার্থীদের বিষয়টি জানিয়ে দিতে হবে। পুলিশি যাচাই প্রক্রিয়া, মেডিক্যাল রিপোর্টসহ পরবর্তী কী কী পদক্ষেপ রয়েছে, তাও জানাতে হবে চাকরিপ্রার্থীদের। বিজ্ঞপ্তি দেওয়ার পরে ৩০ দিনের মধ্যে মেডিক্যাল রিপোর্ট ও পুলিশ ভেরিফিকেশন বা যাচাই প্রক্রিয়া শেষ করতে হবে। এর জন্য প্রার্থীকে যদি সশরীরে উপস্থিত থাকতে হয় তাহলেও ৩০ দিনের মধ্যেই সেটা করতে হবে। এগুলি হয়ে যাওয়ার পর সংশ্লিষ্ট চাকরিপ্রার্থীদের নির্দিষ্টট্রেনিং অ্যাকাডেমিবা দফতরে হাজিরা দিয়ে কাজের ওরিয়েন্টেশান উপযুক্ত প্রশিক্ষণের জন্য উপস্থিত থাকতে নির্দেশ দিতে হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

sixteen + 11 =