একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি হওয়ার ক্ষেত্রে যে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে সংসদের তরফ থেকে তা জন্ম দিল নয়া বিতর্কের। কারণ, ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, একাদশ শ্রেণিতে ১০০ অতিরিক্ত পড়ুয়া ভর্তি হতে পারে রাজনৈতিক নেতাদের সুপারিশেই।
এই মুহূর্তে মাধ্যমিক পরীক্ষা শেষে বঙ্গ জুড়ে একাদশ শ্রেণিতে ছাত্র-ছাত্রীদের ভর্তির চলছে। সাধারণত সরকারি স্কুলগুলিতে একাদশ শ্রেণিতে পড়ুয়া ভর্তির অনুমোদিত ঊর্ধ্বসীমা ৩০০ জনের। অর্থাৎ, ৩০০ জন পড়ুয়া পর্যন্ত স্কুলগুলি নিজেরা ভর্তি নিয়ে নিতে পারে। এরপর অতিরিক্ত ভর্তির প্রয়োজন হলে সেক্ষেত্রে স্কুলের পরিকাঠামো খতিয়ে দেখতে হয়।
এদিকে বৃহস্পতিবারই একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের তরফে। সেখানে বলা হয়েছে জেলা স্কুল পরিদর্শক কিংবা স্থানীয় বিধায়ক বা সাংসদের সুপারিশের ভিত্তিতে আরও ১০০ জন অতিরিক্ত পড়ুয়াকে ভর্তি নিতে পারবে স্কুলগুলি। তারপরও যদি আরও পড়ুয়া ভর্তি করাতে হয়, অর্থাৎ ৪০০-র বেশি পড়ুয়া ভর্তি নিতে গেলে তখন উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের আঞ্চলিক অফিসের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে। একমাত্র ৪০০-র বেশি পড়ুয়া ভর্তি নিতে গেলে, তখনই সংসদের থেকে প্রতিনিধিদল পাঠিয়ে স্কুলের পরিকাঠামো খতিয়ে দেখা হবে।
এই বিজ্ঞপ্তি ঘিরেই তৈরি হয়েছে বিতর্ক। প্রশ্ন উঠেছে, তাহলে কি স্কুলে পর্যাপ্ত পরিকাঠামো না থাকলেও, ক্লাসরুম-বেঞ্চ পর্যাপ্ত থাকুক বা না থাকুক শুধুমাত্র বিধায়ক-সাংসদের সুপারিশেই ভর্তি হয়ে যাবে পড়ুয়ারা? যদিও এ বিষয়ে নিজস্ব ব্যাখ্যা রয়েছে উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদেরও। সংসদের তরফে সভাপতি চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য জানান, ‘ভোটের কারণে বর্তমানে ডিআই’রা খুবই ব্যস্ত। সেই কারণে এটিকে কিছুটা শিথিল করা হয়েছে। ৩০০-র বেশি এবং ৪০০-র কম পড়ুয়া ভর্তি করতে হলে ডিআই-এর সুপারিশ কিংবা বিধায়ক বা সাংসদের সুপারিশ লাগবে।’