পাওয়ার ডমিনেশন চলছে, জানাচ্ছেন বুদ্ধিজীবীরা

রবিবার সকাল থেকেই পুলিশি তৎপরতা আরজি করের সামনে। অন্যদিনের তুলনায় পুলিশের সংখ্যা অনেকটাই বেশি এদিন। কারণ, শনিবার আরজি কর হাসপাতালের সামনে ১৬৩ ধারা জারি করেছে পুলিশ। প্রসঙ্গত, বিগত কয়েকদিনে আরজি করের সামনে হয়েছে একাধিক জমায়েত। চলেছে মোমাবাতি মিছিল, ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন পড়ুয়ারা। এরইমধ্যে স্বাধীনতা দিবসে রাত দখলের রাতে বেনজির আক্রমণের ছবি দেখা গিয়েছিল আরজি করে। তারপর থেকেই একেবারে নিশ্চিদ্র নিরাপত্তার ঘেরাটোপে মুড়ে ফেলা হয়েছে আরজি করকে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের ধারনা, পুলিশ চাইছে আর কোনওরকম আন্দোলন যেন আরজি করের সামনে গড়ে না ওঠে। সে কারণেই জারি ১৬৩ ধারা।

শুধুমাত্র যে আরজি কর হাসপাতাল চত্বর এমনটা নয়। আরজি কর হাসপাতালের পাশে শ্যামবাজার মোড়, বেলগাছিয়ার একাধিক রাস্তায় জারি ১৬৩ ধারা। এই সমস্ত জায়গায় মিটিং, মিছিল, জমায়েতে থাকছে স্পষ্ট নিষেধাজ্ঞা। পুলিশি নির্দেশ অমান্য করলে নেওয়া হতে পারে আইনানুগ ব্যবস্থা। সে কারণেই বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আরজি করের সামনে পুলিশের সংখ্যা আরও বেড়ে চলেছে বলে বলে মনে করা হচ্ছে। সাতদিন আরজি কর সংলগ্ন এলাকায় জমায়েত বেআইনি। উল্টোডাঙা, শ্যামপুকুর, টালা থানার কিছু রাস্তায় নিষেধাজ্ঞা। শ্যামবাজার ক্রসিং থেকে বেলগাছিয়া রোডে প্রতিবাদ নিষিদ্ধ। ৫ জনের বেশি জমায়েত করা যাবে না। হাতে নেওয়া যাবে না লাঠি। শান্তি রক্ষার্থেই এই পদক্ষেপ বলে জানানো হচ্ছে কলকাতা পুলিশের তরফ থেকে।

এদিকে পুলিশের এই নির্দেশে ক্ষোভে ফুঁসছেন বুদ্ধিজীবীরা। অভিনেতা ও নাট্যকর্মী নীল জানান, ‘পাওয়ার ডমিনেশন চলছে। এরও প্রতিবাদ করা উচিত। দরকার পড়লে আবার মিছিল করব।’ চাপানউতোর চলছে রাজনৈতিক মহলেও। বিকাশ ভট্টাচার্য বলছেন, ‘কোনও আন্দোলনকে ওরা মেনে নিতে পারছেন না। ডার্বিও তো বন্ধ করে দিয়েছে। কলকাতা পুলিশ তার ব্যর্থতা স্বীকার করে নিচ্ছে। পুলিশমন্ত্রীর পদত্যাগ করা উচিত।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

fourteen − seven =