পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আংটি বিতর্কে তলব করা হল প্রেসিডেন্সি জেল সুপারকে। সূত্রে খবর, সিআরপিসি ৪১(এ) ধারাতে হেস্টিংস থানার তরফ থেকে একটি নোটিশ দিয়ে তলব ক, রা হয়েছে তাঁকে৷ নোটিশ পাঠিয়ে জেল সুপারকে হাজিরা দিয়ে বলা হয়েছে৷ বলা হয়েছে, তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় পুলিশ৷ এর আগে খবর এসেছিল, আদালতে ভর্ৎসনার পর সংশোধনাগারে হাতের আঙুলের আংটি খুলে ফেলেছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের। কিন্তু এই আংটি বিতর্কে তার পরে অভিযোগ দায়ের করা হয় কারা দপ্তরের তরফ থেকেই। প্রেসিডেন্সি সংশোধানাগারের সুপারের বিরুদ্ধে কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগ এনে হেস্টিংস থানায় লিখিত অভিযোগ করেন কারা দপ্তরের ডিআইজি। এই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তের অগ্রগতি ১৫ দিন অন্তর আদালতেও জানাতে হবে নির্দেশও দেওয়া হয়।
প্রসঙ্গত গত এপ্রিল মাসে ইডি বিশেষ আদালতে শুনানির দিন কয়েকটি ছবি আদালতের সামনে তুলে ধরা হয় ইডির আইনজীবীর তরফে। ইডির দাবি ছিল, পার্থ চট্টোপাধ্যায় এতটাই প্রভাবশালী যে তিনি সংশোধনাগারে থেকেও তাঁর হাতের আঙুলে তিনটি আংটি। ইডির আইনজীবীর এই বক্তব্য শুনে কার্যত অবাক হয়েছিলেন বিচারক। ভার্চুয়ালি শুনানি চলাকালীন বিচারক পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কাছে আঙুল দেখতে চান। দেখা যায় সত্যি পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আঙুলে আংটি রয়েছে। যদিও আইনি প্রশ্নের মুখে চটজলদি তিনি আংটিগুলো খুলে ফেলেন। এরপরই আংটি কাণ্ডে আদালতে সশরীরে হাজিরা দিয়ে কৈফিয়ত তলব করা হয় সংশোধনাগার সুপারের।এরপর সেই নির্দেশ মেনে হাজিরও দেন আলিপুর সংশোধনাগারের পুলিশ সুপার। আদলতে তিনি এও জানান, গত বছর ৫ অগস্ট যখন পার্থকে সংশোধনাগারে নিয়ে আসা হয়, তখন তার আঙুল এতটাই ফুলে ছিল যে আংটিগুলো খোলা সম্ভব হয়নি। যা শুনে আদালত তীব্র ভর্ৎসনা করে। একইসঙ্গে আদালত এ প্রশ্নও তোলে তাহলে শুনানির দিন কী ভাবে চটজলদি খুলে ফেললেন আংটি তা নিয়েই।