পশ্চিমবঙ্গের আলিপুরদুয়ার এবং কোচবিহারে সিটি গ্যাস বিতরণ প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন প্রধানমন্ত্রীর

সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গের আলিপুরদুয়ার এবং কোচবিহার জেলায় সিটি গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন (সিজিডি) প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এটি ভারতে সিজিডি নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণের দিকে নিঃসন্দেহে একটি বড় পদক্ষেপ।
১০০০ কোটি টাকারও বেশি বাজেটের এই প্রকল্পটি ২.৫ লক্ষেরও বেশি পরিবার, ১০০ টিরও বেশি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান এবং শিল্পে পাইপযুক্ত প্রাকৃতিক গ্যাস (পিএনজি) সরবরাহ করার পাশাপাশি, ১৯টি সিএনজি স্টেশন স্থাপনের মাধ্যমে যানবাহন চলাচলে কম্প্রেসড ন্যাচারাল গ্যাস (সিএনজি) সরবরাহ করার লক্ষ্যে এই প্রকল্প তৈরি হতে চলেছে। প্রকল্পটি ২০৩০ সালের ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে সম্পন্ন হওয়ার আশা করা হচ্ছে।
এই প্রসঙ্গে বলে রাখা শ্রেয়, প্রাকৃতিক গ্যাস গ্রহণের জন্য ট্যাপ-অফ পয়েন্টটি পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহার জেলার আমবাড়ি এবং ঘোকসাডাঙ্গা ট্যাপ-অফ স্টেশনের মেসার্স গেইলে অবস্থিত। এই প্রকল্পের মূল লক্ষ্য হলো সিএনজি স্টেশন গড়ে তোলার মাধ্যমে গৃহস্থালি, বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান এবং শিল্প গ্রাহকদের পিএনজি সংযোগ এবং যানবাহনে সিএনজি সরবরাহের জন্য ইস্পাত পাইপলাইন, এমডিপিই পাইপলাইন এবং অন্যান্য সরঞ্জাম তৈরী করার মাধ্যমে একটি শক্তিশালী গ্যাস বিতরণ অবকাঠামো নির্মাণ করা।
এই প্রকল্পের ফলে আশেপাশের এলাকা, কর্মসংস্থান এবং পরিবেশের উপর এক বিরাট সদর্থক প্রভাব পড়বে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে। ভারতের নেট-জিরো নির্গমন লক্ষ্যের সাথে সামঞ্জস্য রেখে, এটি প্রচলিত জ্বালানির পরিবর্তে পরিবেশগতভাবে বন্ধুত্বপূর্ণ বিকল্প হিসেবে প্রাকৃতিক গ্যাসকে প্রচার করে,যাতে গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন প্রায় ২৭ শতাংশ কমিয়ে আনা সম্ভব হবে। এই প্রকল্পটি তার ২৫ বছরের সময়কালে প্রায় ৯৮ টিএমটি গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন কমাবে, যা ৫০ লক্ষেরও বেশি গাছ লাগানোর সমান।
প্রকল্পটি স্থানীয় অর্থনীতিতেও ব্যাপক প্রবৃদ্ধি ঘটাবে, ফলে ২২ লক্ষেরও বেশি প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে বলে আশা করা হচ্ছে। তাছাড়াও, এটি সম্পূর্ণভাবে কার্যকর হলে, জেলাগুলিতে ৪২ লক্ষেরও বেশি মানুষ একটি সুবিধাজনক, নির্ভরযোগ্য, সাশ্রয়ী এবং পরিবেশ-বান্ধব জ্বালানি সরবরাহের সুযোগ পাবেন। শুধু তাওই নয়, পশ্চিমবঙ্গের আলিপুরদুয়ার এবং কোচবিহার জেলায়, এই শক্তিশালী এবং কার্যকর সিটি গ্যাস বিতরণ পরিকাঠামো প্রতিষ্ঠার ফলে একটি শক্তিশালী প্রবৃদ্ধি এবং সুস্থ পরিবেশ গড়ে তোলার পথ আরও প্রশস্ত হয়ে উঠবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

8 + two =