দুই কলেজে অর্থাৎ, যোগেশ চন্দ্র ডে কলেজ ও যোগেশ চন্দ্র চৌধুরী ল কলেজে সরস্বতী পুজো আদপে কোন জায়গায় হবে তা ঠিক করবেন দুই কলেজের দায়িত্বে থাকা অধ্যক্ষরা। শুক্রবার তা স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিল আদালত। সঙ্গে এও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে. আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির যাতে নতুন করে অবনতি না হয় সে কারণেই সামগ্রিক নজরদারির দায়িত্বে থাকছেন উচ্চ পদস্থ পুলিশ আধিকারিক। নিরাপত্তার জন্য মোতায়েন থাকবে প্রচুর পুলিশ। পুজোর যাবতীয় ভিডিয়ো রেকর্ডিং করতে হবে, এমনটাই নির্দেশ হাইকোর্টের। কোন আধিকারিক সেই দায়িত্ব পাবেন তা ঠিক করবেন কলকাতার পুলিশ কমিশনার। এমনটাই নির্দেশ আদালতের। ৫ ফেব্রুয়ারি এই মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে।
পুজো এবং বিসর্জন ঘিরে যাতে কোনও সমস্যা না হয়, তার জন্য পর্যাপ্ত সংখ্যায় সশস্ত্র পুলিশ কর্মী মোতায়েন করার নির্দেশও দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত। অন্যদিকে কলেজে বহিরাগতদের প্রবেশ নিয়ন্ত্রণ করতে তাঁরা অপারগ, তা এদিন আদালতে জানিয়েছে কলেজ কর্তৃপক্ষ। সূত্রের খবর এমনটাই। প্রিন্সপালরাও স্পষ্ট জানান পরিস্থিতি তাঁদের হাতের বাইরে। তাঁদের পক্ষে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়। সে কারণেই তাঁরা শেষ পর্যন্ত আদালতের দ্বারস্থ হন।
সূত্রের খবর, দু’টি কলেজের পড়ুয়ারা প্রতি বছর দু’টি আলাদা জায়গায় পুজো করতো। এবছর পুরনো ভবন থেকে নতুন ভবনে যাওয়ার রাস্তায় এমনভাবে একটি প্যান্ডেল বানানো হয়েছে যা সমস্যা তৈরি করছে। ল’ কলেজের পড়ুয়ারা তাঁদের ক্লাসে যেতে পারছেন না বলে অভিযোগ। তার জেরেই একটি মামলা করা হয়।