পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে বেসরকারি বাস উধাও রাস্তা থেকে

বেসরকারি বাস উধাও কলকাতা সহ রাজ্য়ের নানা জায়গা থেকে। কারণ, শনিবার অর্থাৎ ৮ই জুলাই রাজ্যের ত্রিস্তর পঞ্চায়েতের নির্বাচন। তার জন্য গোটা রাজ্য থেকেতোলা হয়েছে প্রায়  ৫০ হাজার বাস। আর সেই কারণে শহর থেকে গ্রাম, চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। আর এই দৃশ্য শুধুই যে গ্রামেগঞ্জে তা নয়। শহর কলকাতাতেও একই অবস্থা। কলকাতা ছাড়াও যেসব শহরে পঞ্চায়েত ভোট নেই যেমন আসানসোল, দুর্গাপুর, শিলিগুড়ি, হাওড়া রাজ্যের এই গুরুত্বপূর্ণ শহরগুলিতেও একই ছবি। যার জেরে গন্তব্যস্থলে পৌঁছতে গিয়ে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে রাস্তাতে। তাতেও মিলছে না বাসের দেখা।

এখানেই এই দুর্ভোগের ছবি যে শেষ তা নয়। অন্যদিকে, টার্মিনালে আন্তঃজেলা বাসের সংখ্যাও তুলনামূলক কম। জেলার অন্যান্য জায়গা থেকে মাত্র কয়েকটি বাস চলাচল করছে বলে জানা গিয়েছে। এদিকে, পঞ্জিকায় শুক্রবার বিয়ের তারিখ। ফলে বিয়ে উপলক্ষ্যে আমন্ত্রিতদের বিয়েবাড়ি পৌঁছতেও যথেষ্ট বেগ পেতে হচ্ছে।

শুধু যে ভোটের কারণে নির্বাচন কমিশন বাস বা গাড়ি তুলে নিয়েছে তা নয়। ভোটে হিংসা বা ঝামেলার আশঙ্কাতেও অনেক বাস বা গাড়ির মালিক রাস্তায় এই ২-৩ দিন নিজেদের যানবাহন নামাতে চাইছেন না অনেকেই। অনেকেই বলছেন, ভোটে কোনও হিংসা হলেই আগে রাস্তায় থাকা গাড়িগুলির ওপর গিয়ে আক্রোশ পড়ে। শুধু শুধু ক্ষতি বহন করার ইচ্ছে নেই কোনও বেসরকারি বাসমালিকেরই।

এদিকে, বেসরকারি বাস মালিকদের তরফে দাবি তোলা হয়েছিল ভোটের জন্য বাস তোলা হলে তার ভাড়া যেন বাড়ানো হয়। কিন্তু রাজ্যের পরিবহণ দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, পঞ্চায়েত ভোটের জন্য বেসরকারি বাস-মিনিবাস সহ সমস্ত গাড়ির ভাড়া অপরিবর্তিত রাখছে রাজ্য সরকার। ফলে ভোটের জন্য যেসব যানবাহন তোলা হয়েছে তার ভাড়াও না বৃদ্ধি হওয়ায় ক্ষোভে ফুঁসছে বাস মিনিবাস মালিকদের একাধিক সংগঠন। কারণ, পঞ্চায়েত নির্বাচনের অনেক আগে থেকেই ভোটের কাজে তুলে নেওয়া বাস মিনিবাসের দিন পিছু ভাড়া বৃদ্ধির দাবি তোলা হয়েছিল। তাতেও কর্ণপাত করেনি রাজ্য।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

11 − 10 =