বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের বসিরহাটের টাকির ঘটনায় লোকসভার প্রিভিলেজ কমিটির সামনে উপস্থিত হতে হবে রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার, বসিরহাটের পুলিশ সুপার হোসেন মেহেদি রহমান ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পার্থ ঘোষকে। আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি সকাল সাড়ে ১০টার মধ্যে লোকসভার প্রিভিলেজ কমিটির সামনে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তাঁদের। সূত্রে খবর, স্বাধিকারভঙ্গের অভিযোগের ভিত্তিতে এই চিঠি এসেছে। কারণ, রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার অভিযোগ তোলেন, বসিরহাটের পুলিশ প্রশাসন ও জেলাপ্রশাসনের ব্যবহার নিয়ে।
টাকিতে সুকান্ত মজুমদার আহত হন বুধবার। সেই ঘটনায় লোকসভার প্রিভিলেজ কমিটি পদক্ষেপ করল বৃহস্পতিবার। আনা হয়েছে নিরাপত্তাজনিত প্রোটোকল ভঙ্গের অভিযোগ। আর সেই কারণেই ১৯ ফেব্রুয়ারি হাজিরা দিতে হবে ডিজি, এসপি, এএসপিকে।
বুধবার টাকিতে সাংসদ সুকান্ত মজুমদারের স্বাধিকার ভঙ্গ হয়েছে, পুলিশি দুর্ব্যবহারের অভিযোগ প্রিভিলেজ কমিটিকে জানানো হয়েছে। এরপরই পুলিশকর্তাদের তলব। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রককে তাঁদের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে। ১৬ ফেব্রুয়ারির মধ্যে এই উপস্থিতি নিশ্চিত করতেও বলা হয়েছে। সুকান্তের সঙ্গে দুর্ব্যবহার, সেই সঙ্গে পুলিশের আধিকারিকরা সুকান্তের জীবন সংশয়ের মত আঘাতের ক্ষেত্র প্রস্তুত করেছিল বলেও অভিযোগ। বৃহস্পতিবারও স্পিকার ওম বিড়লাকে গত দু’দিনের বসিরহাট আর টাকির ঘটনা নিয়ে বিস্তারিতভাবে চিঠি দেন বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার।
এদিকে এদিনই বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বলতে শোনা যায়, ‘যখন বিপদে পড়েন, পুলিশকেই তো ডেকে পাঠান। আর ছবি তোলার জন্য মহিলা পুলিশদেরও ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিতে হবে? তাঁরা যদি পাল্টা আপনাদের বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টার অভিযোগ তোলেন। একটা মহিলার গায়ে হাত দেওয়া অন্যায় এটা জানেন না? ভাবছেন পুলিশরা সব সহ্য কর নেবেন। ওনারা মানুষ না? এসব চলছে।’ তবে টাকির ঘটনার জল যে অনেক দূর গড়াতে চলেছে, তা লোকসভার সচিবের কাছ থেকে আসা চিঠি থেকেই স্পষ্ট।