রাজ্যের স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের পদ থেকে অপসারিত করা হয়েছে সুহৃতা পালকে। এরপরই উপাচার্যহীন স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয়ে চিকিৎসক দেবাশিস বসুকে এবার সহ-উপাচার্য নিয়োগ করা হল স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয়ে। তিনি কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের বায়োকেমিস্ট্রির অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। সহ-উপাচার্য পদের দায়িত্বগ্রহণ ঘিরেও গতকাল চূড়ান্ত নাটকীয়তা স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয়ে। উপাচার্যের ঘর তালাবন্দি থাকার কারণে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করতে হয় নতুন দায়িত্ব পাওয়া সহ-উপাচার্য চিকিৎসক দেবাশিস বসুকে। শেষে স্বাস্থ্য ভবনের হস্তক্ষেপে সন্ধের আগে দায়িত্বগ্রহণ করেন তিনি। এদিকে শুক্রবার উপাচার্য পদ থেকে অপসারিত হওয়ার পর হাইকোর্টের দ্বারস্থ হতে দেখা গেছে সুহৃতা পালকে।
উল্লেখ্য, বিগত কয়েক সপ্তাহে স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয়ে একাধিক দফায় চিঠি গিয়েছে রাজভবন থেকে। উপাচার্য পদে কীভাবে সুহৃতা পাল বসে ছিলেন, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে চিঠি পাঠানো হয় রাজভবন থেকে। তিনবার চিঠি পাঠানো হয় আচার্য তথা রাজ্যপালের থেকে। এই চিঠিতে কেন সুহৃতা পাল উপাচার্য পদে বসে রয়েছেন, তার জবাব দেওয়ার জন্য শেষে ৭২ ঘণ্টার সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিল রাজভবন। এরপর এই শোকজের যে জবাব রাজভবনে গিয়েছিল তাতে রাজ্যপাল তথা আচার্য তাতে সন্তুষ্ট ছিলেন না বলে রাজভবন সূত্রে খবর। এরপরই উপাচার্য পদ থেকে অপসারিত করা হয় সুহৃতা পালকে। সেই থেকে উপাচার্যহীন স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয়। আর এসবের মধ্যেই এবার অভিভাবকহীন স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয়ে সহ-উপাচার্য নিয়োগ করা হল। দায়িত্ব দেওয়া হল কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের বায়োকেমিস্ট্রির অধ্যাপক দেবাশিস বসুকে।