রাজ্যের আবেদন গ্রাহ্য হয়নি৷ ধর্মতলায় ঠিক তৃণমূলের একুশে জুলাইয়ের সমাবেশের জায়গাতেই আগামী বুধবার হতে চলেছে শাহি সমাবেশ। ২৯ নভেম্বর ‘বঞ্চিত’দের নিয়ে ধর্মতলার ভিক্টোরিয়া হাউজের সামনে সমাবেশ করতে চলেছে বঙ্গবিজেপি৷ যা নিয়ে দলীয় স্তরে প্রস্তুতিও তুঙ্গে৷ আর এই প্রস্তুতির একটা বিরাট অঙ্গ সমাবেশের প্রচার। সেই কারণে এবার সোশ্যাল মিডিয়াতেও কোমর বেঁধে নামলেন বিজেপির নেতাকর্মীরা৷
এদিকে নজর আসছে বঙ্গ বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার থেকে শুরু করে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী-সহ রাজ্য বিজেপির অন্যান্য নেতাকর্মী, সমর্থকেরা সকলেই সোশ্যাল মিডিয়ার নিজেদের প্রোফাইল পিকচার বদলে ফেলেছেন ইতিমধ্যেই৷ সেখানে লিখেছেন, সমাবেশের ‘বিশেষ’ স্লোগান৷ পাশাপাশি, তুলে ধরা হয়েছে ‘কলকাতা চলো’র পোস্টারও। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর তরফে এদিন একটি ভিডিও বার্তাও দেওয়া হয় সমাজ মাধ্যমে৷ সেই বার্তায় সমাজের সমস্ত শ্রেণির ‘বঞ্চিত’ মানুষকে সমাবেশে যোগ দেওয়ার জন্য আহ্বান জানান তিনি।
এদিকে আবার বিজেপির এই বিশেষ সমাবেশের জন্য বঙ্গ বিজেপির তরফে শনিবার লঞ্চ করা হয়েছে একটি বিশেষ থিম সং৷ আদালতের অনুমতি পাওয়ার পরেই ধর্মতলায় সমাবেশের জোর প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে রাজ্য বিজেপি। আগামী ২৯ নভেম্বর বিজেপির সমাবেশে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ মূল বক্তা। আর তাই শাহি সমাবেশের লক্ষ্য নিয়েই ধর্মতলা সমাবেশের দিকে এগোচ্ছে রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব।
শুধু তাই নয়, আগামী বুধবারের এই সভাকে কেন্দ্র করে বিজেপির সভার মঞ্চ বাঁধার আগে রবিবার হয়ে গেল খুঁটি পুজো। উপস্থিত ছিলেন রাজ্য বিজেপির নেতারা। পাশাপাশি এদিন ভিক্টোরিয়া হাউজের সামনেই রীতিমতো তাঁবু খাটিয়ে মোদির মন কি বাত শুনলেন বিজেপি নেতাকর্মীরা।
এদিক এই সভা সম্পর্কে মুখ খুলতে দেখা গেল অগ্নিমিত্রা পলকে। তিনি এই প্রসঙ্গে জানান, ‘ ২৯ নভেম্বর বাংলার প্রতিটা মানুষ আমাদের সঙ্গে থাকবেন। যাঁরা এই রাজ্য সরকারের কাছ থেকে কোনও না কোনওভাবে বঞ্চিত হয়েছেন। কেন্দ্রীয় সরকারের সমস্ত জিনিস এসেছে, কিন্তু রাজ্য সরকার তাঁদের দেয়নি। মানুষ ২৯ তারিখ এখানে আসবেনই।’