বেআইনি বহুতল ভেঙে বিপর্যয়। মৃত্যু হয়েছে ৭ জনের। এদিকে গার্ডেনরিচকাণ্ডে গ্রেফতার করা হয় মহম্মদ ওয়াসিম নামে এক প্রোমোটারকে। পুলিশ সূত্রে খবর, গার্ডেনরিচ থানার পুলিশ ধৃত প্রোমোটারের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ দায়ের করেছে। তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। ৩০৪ ধারায় অনিচ্ছাকৃত খুন, ৩০৭ ধারায় খুনের চেষ্টা, অবৈধ নির্মাণের জন্য কেএমসি অ্যাক্টে মামলা দায়ের হয়েছে। একইসঙ্গে পুলিশ সূত্রে এও খবর, যে জায়গায় বহুতলটি নির্মাণ হচ্ছিল সেখানে আগে পুকুর ছিল। সেক্ষেত্রে পুকুর ভরাটের অভিযোগও দায়ের হবে। এদিকে মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় নির্দেশ দিয়েছেন, অভিযুক্ত প্রোমোটারের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিতে হবে। তারপরই গ্রেফতার করা হয় প্রোমোটারকে।
তবে এক্ষেত্রে কেবল প্রোমোটারই নয়। প্রোমোটার বাড়িটি বেআইনিভাবে নির্মাণ করছিলেন বটে, কিন্তু এই ঘটনার পিছনে আরও ব্যক্তির ভূমিকা নিয়ে সন্ধিহান পুলিশ। যে কোনও পুরসভা এলাকায় বহুতল নির্মাণ করতে গেলে বেশ কিছু আইনি নিয়ম মেনে চলতে হয়। সেক্ষেত্রে এই ভবন নির্মাণের ক্ষেত্রে সব কটি আইনি পদক্ষেপ মান্য করা হয়েছিল কিনা, ভবনের নকসা অর্থাৎ ‘প্ল্যানে’র ক্ষেত্রেও অনুমোদন নেওয়া হয়েছিল কিনা, তাও এবার খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
যদি অনুমোদন ছাড়াই ভবনটি নির্মীত হয়ে থাকে, তাহলেও তার পিছনে কার হাত রয়েছে, সেই বিষয়টিও তলিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। এ ব্যাপারে ধৃত প্রোমোটারকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পেরেছে, এই ভবনটির দোতলা পর্যন্ত অনুমোদন ছিল। দোতলার সমান করেই ভিত ও কলাম তৈরি করা হয়েছিল। কিন্তু দেখা গিয়েছে, বেআইনিভাবে আরও চারটি তলা নির্মাণ করছিলেন প্রোমোটার। সেখানেই সমস্যা হয়। ভার নিতে পারেনি ভিত। এছাড়াও নির্মাণ সামগ্রীর মান নিয়েও প্রশ্ন উঠতে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
গার্ডেনরিচের মতো একটি ঘিঞ্জি এলাকায় কীভাবে পাঁচতলা ভবন নির্মাণ হচ্ছিল, কাউন্সিলর কীভাবে অনুমতি দিলেন, সব বিষয়গুলো এবার আলোচনায় চলে আসছে।