কেন্দ্রীয় সরকারের একশো দিনের কাজের টাকা না মেলা আর গত তিন বছর ধরে বাংলা প্রাপ্য একশো দিনের টাকা থেকে বঞ্চিত হওয়ার ঘটনায় সল্টলেকে বিজেপির রাজ্য দপ্তরের সামনে চলে বিক্ষোভ। আর এই বিক্ষোভে একের পর এক স্লোগান তুলে চাপ বাড়াতে দেখা যায় বিজেপির নেতাদের উপর।
এদিকে সূত্রে খবর, শনিবার বেলায় সল্টলেক সেক্টর ফাইভে বিজেপি অফিসের সামনে জড়ো হন পশ্চিমবঙ্গ খেতমজুর সমিতি, শ্রমজীবী মহিলা সমিতি-সহ একাধিক সংগঠনের প্রায় ১০০ জন। ‘তিন বছর ধরে ১০০ দিনের কাজের টাকা বন্ধ কেন বিজেপি সরকার জবাব দাও’ এই স্লোগান তোলা হতে থাকে এই জমায়েত থেকে। আর বিক্ষোভের কারণে পরিস্থিতি ক্রমেই উত্তপ্তও হতে থাকে। সেসময় বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদ শমীক ভট্টাচার্য ওই অফিসের সামনে গিয়ে পৌঁছন। তাঁর উদ্দেশেও বিক্ষোভকারীরা স্লোগান তুলতে থাকেন।
এই ঘটনায় সাময়িক মেজাজ হারাতেও দেখা য়ায় শমীক ভট্টাচার্যকে। বিক্ষোভকারীদের এই দাবি নিয়ে নবান্নে যেতে পালটা উপদেশ দেন তিনি। মনে করিয়ে দেন, এটা কোনও সরকারি দপ্তর নয়, এটা বিজেপির কার্যালয়। বিক্ষোভকারীদের এখানে কোনও রাজনৈতিক দল পাঠিয়েছে বলেও জানান তিনি। পুলিশ যদি বিক্ষোভকারীদের না সরায়, তাহলে তাঁরাই সরিয়ে দেবেন। এরপরেও বিক্ষোভকারীরা দমে না গিয়ে, আরও বেশি স্লোগানিং শুরু করে। সঙ্গে বিক্ষোভকারীরা বিজেপি নেতৃত্বের কাছে ডেপুটেশন দেওয়ার দাবিও তোলেন।
বেশ কিছু সময় পেরিয়ে যাওয়ার পরে বিজেপি সাংসদ শমীক ভট্টাচার্য তাঁদের সঙ্গে কথা বলতে রাজি হন। এরপরই বিক্ষোভকারীদের প্রতিনিধি হিসেবে পাঁচজন কথা বলার জন্য ভিতরে যান। সাংসদের কাছে ডেপুটেশন দেওয়া হয়। পরে শমীক ভট্টাচার্য দপ্তরের বাইরে এসে কর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন। তিনি জানান, এই দাবি নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে আলোচনা করবেন। কেন্দ্র সরকারের পক্ষ থেকে কী জানানো হয়, তা আগামী ৭ ফেব্রুয়ারির মধ্যে জানিয়ে দেবেন।
এদিকে রাজ্যের তরফে অভিযোগ, কেন্দ্রের একশো দিনের কাজের টাকা দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ। তৃণমূল সরকার একাধিকবার এই বিষয়ে আবেদন করেছে কেন্দ্রের কাছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পর্যন্ত একশো দিনের কাজের টাকা পেতে জোরালো দাবি তুলেছেন। তারপরেও কেন্দ্রীয় সরকার সেই প্রাপ্ত টাকা দেয়নি।