স্বাস্থ্যভবন থেকে কাকদ্বীপ সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে বদলি করা হয়েছে আরজি কর হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ ঘনিষ্ঠ হিসাবে পরিচিত বিরূপাক্ষ বিশ্বাসকে। আর এই নির্দেশিকা সামনে আসার পরই শুরু হয়ে যায় বিক্ষোভ। ডায়মন্ড হারবার স্বাস্থ্য জেলার সিএমওএইচের অফিস ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখানো শুরু করেন ডায়মন্ড হারবার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জুনিয়র ডাক্তাররা। স্থানীয় সূত্রে খবর, দুপুর সাড়ে বারোটা থেকে সিএমওএইচের অফিসের গেটের সামনে অবস্থান-বিক্ষোভে বসেছেন চিকিৎসক পড়ুয়ারাও।
বিক্ষোভকারীদের দাবি, বিরূপাক্ষ বিশ্বাস বর্ধমান সহ রাজ্যের বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক পড়ুয়া সহ জুনিয়র চিকিৎসকদের উপর ‘থ্রেট কালচার’ শুরু করেছিলেন। যেহেতু ডায়মন্ড হারবার স্বাস্থ্য জেলার আওতাধীন ডায়মন্ড হারবার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল। পাশাপাশি একই রকম ভাবে এই স্বাস্থ্য জেলার আওতাধীন কাকদ্বীপ সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালও। তাই কাকদ্বীপ সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে বিরূপাক্ষ বিশ্বাস যোগদান করলে আবারও কর্তৃত্ব ফলাতে পারেন বলেই আশঙ্কা করছেন তাঁরা। আর সেই কারণেই শুরু হয় বিক্ষোভ। তাঁদের একটাই দাবি, কোনও ভাবেই বিরূপাক্ষ বিশ্বাসকে কাকদ্বীপ সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে যোগদান করতে দেওয়া হবে না।
বিরূপাক্ষের এই বদলি প্রসঙ্গে জুনিয়র চিকিৎসক সাগ্নিক মিদ্দা জানান, ‘বিরূপাক্ষের অর্ডার এসেছিল ২০২৩ সালে। এতদিন নিজের প্রভাব খাটিয়ে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে থেকে গিয়েছিলেন। এখন সেখানকার আন্দোলন ভয়ঙ্কর আকার ধারণ করেছে। এতদিনে উনি ট্রান্সফার নিতে বাধ্য হলেন। ওইখানকার ছাত্ররা জনিয়ে দিয়েছে, কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নিক বা না নিক, পড়ুয়ারাই যা ব্যবস্থা নেওয়ার নেবে। আমাদের গায়নো বিভাগের প্রাক্তন এইচওডি সমাদৃতা ম্যাডামকে থ্রেট করেছিলেন বিরূপাক্ষ। তাই ওনার সঙ্গে সম্পর্ক পুরনো দিনের। তাই যতক্ষণ পর্যন্ত এই অর্ডার ফিরিয়ে নেওয়া না হচ্ছে আমাদের অবস্থান চলবে।’
উল্লেখ্য, স্বাস্থ্য ভবন মঙ্গলবারই বিরূপাক্ষকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ থেকে সরিয়ে ডায়মন্ড হারবার মেডিক্যাল কলেজের অন্তর্গত কাকদ্বীপ মহকুমা হাসপাতালে বদলি করেছে। যদিও, এ প্রসঙ্গে বিরূপাক্ষ জানান, ‘যখন আমি কাউন্সিলিংয়ে যোগ দিই, সেই সময় দুটো তিনটে হাসপাতাল পেয়েছিলাম। তার সঙ্গে পানিহাটি বা নৈহাটি হাসপাতাল আর কাকদ্বীপ হাসপাতাল পেয়েছিলাম। কাকদ্বীপ নিয়েছি কারণ কলকাতা পার্শ্ববর্তী এলাকা। আরজি কর সূত্রে কোনও যোগাযোগ নেই। আমার বিরুদ্ধে যা ছড়ানো হচ্ছে তা মিথ্যে কথা। এটা আমার মেধা তালিকা। এমডি-তে আমি কত নম্বর পেয়েছিলাম তার ভিত্তিতে একটি কাউন্সিলিংয়ে যোগ দিতে হয়। সেই অর্থে কপালে জুটেছে কাকদ্বীপ।’