শিক্ষা বিভাগ, ফিজিক্সওয়াল্লাহ (পিডব্লিউ) তাদের ছাত্র স্মায়ন দাসনায়ক ২০২৫-এর সিবিএসই-তে ৯৯.২% মার্কস পাওয়ায় তাঁকে সংবর্ধনা জানানো হল পিডব্লিউ বিদ্যাপীঠের তরফ থেকে। একইসঙ্গে সংস্থার তরফ থেকে এও জানানো হয় যে সিবিএসই-তে এমন ফল পশ্চিমবঙ্গ তথা কলকাতার বাসিন্দা স্মায়ানের যাত্রা নিঃসন্দেহে চিত্তাকর্ষকও।
তাঁর সাফল্যের কথা বলতে গিয়ে স্মায়ন জানান, ‘সত্যি কথা বলতে, প্রথমে আমি প্রথম থেকে একটু বেশিই ক্যাজুয়াল ছিলাম, তবে পিডব্লিউ বিদ্যাপীঠের অধ্যাপকের অবিচ্ছিন্ন সমর্থন সত্যিই আমার পড়াশুনার পাশাপাশি আমার পরীক্ষার ক্ষেত্রে এই লড়াইকে সাহায্য করেছিল। একইসঙ্গে এ বিশ্বাসও তৈরি করে দেয় যে সাফল্য পাওয়ার ক্ষেত্রে কোনও কৌশল নেই। এটা নিজের ছন্দেই এগিয়ে চলে। আর এটাও ঠিক যে চরিত্র গঠনে মানসিক চাপ একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আমি নিয়মিত বিশ্রাম নিতে পেরেছিলাম, যা অন্যদের থেকে একটি বড় পার্থক্য তৈরি করেছিল। পি. ডব্লিউ পরীক্ষাগুলি আমার স্মৃতি ধারণকে উন্নত করার জন্য বিশেষভাবে দরকারী ছিল। তবে এই বিক্ষেপগুলো হল জীবনের একটা অংশ, যা মনকে সতেজ করার জন্য আমোদপ্রমোদ অপরিহার্য। তবে এটাও ঠিক যে এর সীমা থাকা আবশ্যক। আমি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলি ব্যবহার করতাম, যদিও আমি আমাকে আশ্বস্ত করেছিলাম যে তারা আমার সময়সূচির নিয়ন্ত্রণ নেয়নি। ভবিষ্যতের দিকে তাকিয়ে, আমি পদার্থবিজ্ঞানের আন্তর্জাতিক অলিম্পিক, আন্তর্জাতিক গাণিতিক অলিম্পিয়াড এবং শেষ পর্যন্ত জেইই-তে অংশ নেওয়ার ইচ্ছা রয়েছে। আমার স্বপ্ন একজন গবেষক হওয়া এবং সুযোগ পেলে একজন অধ্যাপক হওয়া।
পিডব্লিউ-র প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, শিক্ষক আলাখ পান্ডে বলেন, ‘স্মায়নের ফলাফল নিয়মিত প্রচেষ্টা ও সঠিক সম্পদের মূল্যমানের একটি উদাহরণ। পিডাব্লু-তে আমরা বিভিন্ন প্রেক্ষাপট থেকে আসা শিক্ষার্থীদের তাদের একাডেমিক লক্ষ্যের প্রস্তুতির জন্য সহায়তা করার চেষ্টা করি।
এ বছর সিবিএসই-র দশম শ্রেণির পরীক্ষায় ২৩ জনেরও বেশি ছাত্রছাত্রী অংশ নিয়েছে। স্মায়ানের পারফরম্যান্স উচ্চ নম্বর অর্জনকারী শিক্ষার্থীদের মধ্যে তাঁকে এক বিশেষ স্থান দিয়েছে। শুধু তাই নয়, এটি একাডেমিক প্রস্তুতির ক্ষেত্রেও অফলাইন শিক্ষার প্রয়োজনীয়তার একটি বড় উদাহরণ।