ভাটপাড়ার শাসকদলের ছাত্রনেতা শুভাশিস চক্রবর্তীর বেশ কিছু ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল। একাধিক রাজনৈতিক নেতার সঙ্গেও তাঁর ছবি প্রকাশ্যে এসেছে। তৃণমূল ছাত্র পরিষদের রাজ্য সভাপতি তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্যের সঙ্গেও শুভাশিসের ছবি দেখা গিয়েছে। তারই পাশাপাশি হাতে বন্দুক নিয়ে একগুচ্ছ ছবি তুলেছেন তৃণমূলের ছাত্রনেতা। কোনও ছবিতে নিজের গালে ঠেকিয়ে রেখেছেন বন্দুক, আবার কোনও ছবিতে বন্দুক তাক করে আছেন সামনে। আর এখানেই বিরোধীরা প্রশ্ন তুলছেন, ছাত্রনেতার হাতে আগ্নেয়াস্ত্র এল কীভাবে তা নিয়ে।সঙ্গে এ প্রশ্নও উঠেছে, এমন ছবিই বা তুললেন কেন ভাটপাড়ার এই ছাত্রনেতা। তবে তৃণমূল দাবি করছে, ছাত্রনেতা হিসেবে কোনও পদ নেই ওই যুবকের। অভিযোগ প্রমাণিত হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও দাবি করেন শাসক দলের নেতারা।
তবে যেটুকু জানা যাচ্ছে, তাতে ভাটপাড়ার ২২ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা ওই ছাত্রনেতার নাম শুভাশিস চক্রবর্তী। এই ছাত্রনেতার নামে আগেও একাধিক অসামাজিক কাজে যুক্ত থাকার অভিযোগ ওঠে। গ্রেফতারও করা হয়েছিল তাঁকে।
ছবি ভাইরাল হওয়ার পরও কেন পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না কেন বা কোনও জিজ্ঞাসাবাদই বা কী কারণে করা হচ্ছে না তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধীরা।এই প্রসঙ্গে ভাটপাড়ার ভাইস চেয়ারম্যান দেবজ্যোতি ঘোষ জানান, আগে সত্যতা যাচাই হোক তারপরই পুলিশ পদক্ষেপ করবে। সেই সঙ্গে তিনি স্পষ্ট জানান, ছাত্র পরিষদের কোনও পদেও নেই শুভাশিস। ‘ক্রিমিনালকে ক্রিমিনালের মতোই দেখা হবে’ বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
এই প্রসঙ্গে বাম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, ‘শাসক দলের চেহারাটা সবাই দেখতে পাচ্ছে। লুঠ, দখল, আর ক্ষমতার রাজনীতি করছে তৃণমূল। শুধুই জবরদস্তি আর তোলাবাজি ছাড়া আর কিছু নেই ওই দলে। যে যত ক্ষমতার বৈভব দেখাবে, ততই নেতাদের ঘনিষ্ঠ হওয়া যাবে।’ এই ঘটনায় তৃণমূলকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি ভাটপাড়ার বিজেপি নেতা অর্জুন সিং। তিনি বলেন, ‘তৃণমূলের সংস্কৃতিই এটা। সব জায়গায় একই ছবি দেখা যাচ্ছে।’ অন্যদিকে, তৃণমূল নেতা শান্তনু সেনের বক্তব্য, ‘বাম আমলেও অনেক নেতাকে এভাবে দেখা গিয়েছে। তবে এই ঘটনা সমর্থনযোগ্য নয়। দলের কোনও যোগ থাকলেও সে পার পাবে না। প্রশাসন দৃষ্টান্তমূলক পদক্ষেপ করবে।’