দ্বিতীয় টেস্টে বুমরাহকে খেলানো হবে কি না প্রশ্ন ভারতীয় শিবিরে

এক নম্বর বোলার ও টিমের ব্রহ্মাস্ত্রকে নিয়ে আপাতত মহাসঙ্কটে শুভমান গিলগৌতম গম্ভীরের ভারত। এজবাস্টনে  টেস্ট শুরু ২ জুলাই। এর মধ্যেই টিম ম্যানেজমেন্টকে ঠিক করতে হবে, জশপ্রীত বুমরাহকে এই টেস্টে খেলানো হবে কি না। এর আগে ভারতীয় ক্রিকেট দলের থিঙ্ক ট্যাঙ্কের পরিকল্পনা ছিল, ঠিক ছিল, হেডিংলে টেস্টে জিতলে এজবাস্টনে দ্বিতীয় টেস্টে বুমরাহকে বিশ্রাম দেওয়া হবে। কারণ, এজবাস্টনে ব্যাটিং উইকেট। উপযুক্ত বিশ্রাম দেওয়ার পরে লর্ডসে তৃতীয় টেস্টে খেলানো হবে।

তৃতীয় টেস্টের (১০১৪ জুলাই) পরে ৮ দিন সময় আছে ম্যাঞ্চেস্টারে (২৩২৭ জুলাই) চতুর্থ টেস্টের আগে। সেই অঙ্কে প্রতি টেস্টের আগেই অন্তত এক সপ্তাহ বিশ্রাম থাকছে, যাতে বুমরাহ রিকভারি টাইম পেতে পারেন।

তবে এই পরিকল্পনায় জল ঢেলে দিযেছে হেডিংলের হার। ফলে যে পরিকল্পনা ছিল তা বাস্তবায়িত কতটা করা যাবে তা নিয়ে তৈরি হয়েছে এক বড় প্রশ্ন চিহ্ন।  এবার পরিকল্পনা মতো এজবাস্টনে বুমরাহ খেললেন না এবং ভারত ফের হারল মানেই সিরিজে শুবমানরা ০২ পিছিয়ে পড়বেন। তখন সিরিজ জিততে হলে শেষ তিনটে টেস্টেই জিততে হবে, যাএক বিরাট চাপের ব্যাপার ভারতেরক্রিকেটদলেরজন্য।

এদিকে বুমরাহ সতীর্থদের হাল মোটেই কহতব্য নয়। প্রথম টেস্টে দুই ইনিংসে মিলিয়ে ৪১ ওভার বোলিংয়ে ১৭৩ রান দিয়েছেন টিমের দুই নম্বর পেসার সিরাজ, উইকেট মাত্র দুটো। প্রসিধ কৃষ্ণ মাত্র ৩৫ ওভারে দিয়েছেন ২২০ রান, উইকেট পাঁচটা। ওভার প্রতি ইকনমি রেট ৬ রানেরও বেশি বোলিং অলরাউন্ডার হিসেবে খেলা শার্দূল ঠাকুর ১৬ ওভারে দিয়েছেন ৮৯, উইকেট দুটো। সেই দুটো উইকেটও এসেছে ব্যাটারদের ভুলে। দলের বোলিংয়ের যেখানে এই হতশ্রী অবস্থা সেখানে  বুমরাহকে দ্বিতীয় টেস্টে না খেলানোটা বিলাসিতা বলেই মনে করছেন রবি শাস্ত্রী।

এদিক আবার লোয়ার অর্ডার ব্যাটিং বিপর্যয় দুই ইনিংসেই টিমের ভরাডুবির অন্যতম কারণ। শার্দূলের ব্যাটে দুই ইনিংসে অবদান ১ ও ৪। তার বদলে নীতীশ কুমার রেড্ডিকে খেলানো হবে, না কি জাডেজার সঙ্গী হিসেবে দ্বিতীয় স্পিনার কুলদীপ যাদব খেলবেন, তা নিয়েও দ্বিধায় টিম। কুলদীপকে খেলানোর পক্ষে যুক্তি, পেসাররা যখন ব্যর্থ, তখন একজন বিশেষজ্ঞ স্পিনার ইংল্যান্ডের মাঠে ক্লিক করতেই পারেন। কারণ, এ বার ইংলিশ সামারে যে ধরনের উইকেট হয়েছে, তাতে শেষ দিকে স্পিনারের ভূমিকা থাকতেই পারে। এই প্রসঙ্গে উঠে এসেছে হেডিংলের শেষ দিন জাদেজা যে ভাবে বোলার্স ফুটমার্কে তৈরি হওয়া রাফে বল ফেলে বেন স্টোকসকে আউট করেছিলেন সেই ঘটনাও।  আবার নীতীশের পক্ষে যুক্তি, ব্যাট হাতে লোয়ার অর্ডারকে নির্ভরতা দিতে পারেন।কিন্তু বোলার  হিসেবে নীতীশ কতটা নির্ভরযোগ্য তা নিয়েই তো রয়েছে বড় এক প্রশ্নচিহ্ন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

two × 4 =