আলিপুরদুয়ারে পলিটেকনিক কলেজের প্রশ্নফাঁস, অভিযোগ ওড়াল কলেজ কর্তৃপক্ষ

পরীক্ষা শুরুর ২ ঘণ্টা আগেই আলিপুরদুয়ারে পলিটেকনিক কলেজের সেকেন্ড সেমেস্টারের প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ উঠল। যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে কলেজ কর্তৃপক্ষ। সূত্রের খবর, বুধবার দুপুর ১২ টা ৩০ মিনিট নাগাদ আলিপুরদুয়ার পলিটেকনিক কলেজের সেকেন্ড সেমেস্টারের ফিজিক্স পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়ার অভিযোগ করা হয়।
এদিকে বুধবার দুপুর নাগাদ সোশ্যাল মিডিয়ায় আলিপুরদুয়ারের বিভিন্ন গ্রুপে পলিটেকনিক পরীক্ষার সেকেন্ড সেমিস্টারের ফিজিক্স পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ঘোরাফেরা করতে লক্ষ্য করা যায়। এদিকে দুপুর ২ টো ৩০ মিনিট নাগাদ পলিটেকনিক কলেজের সেকেন্ড সেমেস্টারের পরীক্ষা শুরু হয়। এরপ পরীক্ষা শেষে পরীক্ষার্থীদের প্রশ্নপত্রের সঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘুরে বেড়ানো প্রশ্নপত্র মিলিয়ে দেখলে প্রশ্নফাঁসের ব্যাপারটি সামনে আসে।
এই প্রসঙ্গে আলিপুরদুয়ারে পলিটেকনিক কলেজের এক পড়ুয়া জানান,’এই বিষয়ে আমার বা আমাদের সহপাঠিদের কিছুই জানা নেই। কারণ যদি কেউ কিছু জানত তাহলে এটা নিয়ে আলোচনা হত। কিন্তু কেউ কোনও কথা বলেনি মানে কেউ কিছু জানেনা বা এরকম কিছু ঘটেনি।’এরপরেই রসিকতা করে ওই পড়ুয়া জানান, ‘যদি আজকের প্রশ্নপত্র পাওয়া যেত, তাহলে তো পরীক্ষা ভালোই হতো।কারণ,কলেজে শিক্ষক না থাকায় আমন্ত্রিত শিক্ষক দিয়েই আমাদের ২ মাসে পুরো সেমেস্টারের ক্লাস করানো হয়। আর তাতে আমাদের খুব চাপের মুখে পড়তে হয়েছে। পরীক্ষার আগে যে সাজেশন দেওয়া হয়েছিল তার একটিও পরীক্ষার প্রশ্নপত্রে আসেনি। ফলে চূড়ান্তভাবে আমাদের চাপে পড়ে পরীক্ষা দিতে হয়েছে।’ এদিকে প্রশ্নপত্র ফাঁসের সম্পূর্ণ ঘটনা অস্বীকার করেছে কলেজ কর্তৃপক্ষ।
আলিপুরদুয়ার পলিটেকনিক কলেজের প্রিন্সিপাল কৌস্তব দত্ত জানান,’আমরা এই বিষয়ে অনেক কানাঘুষো শুনেছি। তবে অফিশিয়ালি আমাদের কাছে কোনও অভিযোগ আসেনি। সরকারিভাবেও আমাদেরকে এই বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি। সোশ্যাল মিডিয়ায় যে প্রশ্নপত্র ঘুরে বেড়াচ্ছে আদতে সেই প্রশ্নপত্র সঙ্গে পরীক্ষার প্রশ্নপত্রের মিল আছে কিনা, সেই বিষয়ে আমাদের কিছু জানা নেই।’
এর আগেও মাধ্যমিক পরীক্ষা চলাকালীন সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘুরছে প্রশ্নপত্র,এমনই অভিযোগে সরব হন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। সোশ্যাল সাইটে সেই ছবি পোস্টও করেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি। উল্টে পরীক্ষা চলাকালীন সুকান্ত এই প্রশ্ন ফাঁস করতে তাঁর বিরুদ্ধেই আনা হয় বিধিভঙ্গের অভিযোগ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

11 + 14 =