আনন্দপুরে এক গেস্ট হাউস থেকে বাদশাহ–গ্যাংয়ের সঙ্গে পুলিশের হাতে ধরা পড়েছেন এক মহিলাও। আর এই মহিলার পরিচয় নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃত মহিলার নাম আলপনা।তবে বড় প্রশ্নচিহ্ন রয়েছে এই আলপনার পরিচয় নিয়ে। আনন্দপুর গেস্ট হাউসে কী করছিলেন তিনি বা যে অপারেশন বিহারে হয়েছিল তার সঙ্গে কোনওভাবে তিনি জড়িত কি না তা নিয়ে এখন তদন্ত করছে কলকাতা পুলিশ।
জানা যাচ্ছে, বাদশাহ গ্যাংয়ের এক সদস্য হলেন নিশু খান। সেই নিশু খানেরই মহিলা সঙ্গী হলেন আলপনা। পুলিশ তদন্তে জানতে পেরেছে, অপারেশনের পর নিশু খান আলপনাকে বলেছিলেন, তাঁর আত্মীয়কে চিকিৎসার জন্য কলকাতা নিয়ে আসছেন তাঁরা। কলকাতার একটি গেস্ট হাউজ়ে রুম বুক করতে বলেছিলেন তিনি। সেই মতো আলপনা নিজের আইডি কার্ড ব্যবহার করে হোটেলে রুম বুকিং করেন। গ্রাউন্ড ফ্লোরের একটি ঘরে নিশু খানের সঙ্গে তিনি সেই রাতে ছিলেন। কলকাতা পুলিশের এসটিএফ যখন অভিযান চালাতে যায়, তখন নিশুর সঙ্গে ওই মহিলাকেও উদ্ধার করা হয়। দোতলার ঘর থেকে ওই গ্যাংয়ের বাকি সদস্যদের গ্রেফতার করা হয়। এখনও পর্যন্ত পুলিশ জানতে পেরেছে, ওই মহিলা আদতে এই বিষয়ে কিছুই জানতে না। নিশু যে বাদশাহ গ্যাংয়ের সঙ্গে যুক্ত, তাঁরা যে এই ধরনের ঘটনা ঘটিয়ে এসেছেন, সে এব্যাপারে একেবারেই অন্ধকারে ছিলেন আলপনা।
পাশাপাশি এও জানা যাচ্ছে, সামাজিক মাধ্যমেই নিশুর সঙ্গে আলপনার পরিচয় হয়। নিশু নিজেকে একজন প্রভাবশালী বলেই পরিচয় দিয়েছিলেন আলপনার কাছে। নিশু আলপনাকে জানাতেন, তাঁর সঙ্গে পুলিশি নিরাপত্তা থাকে, তাঁর ব্যক্তিগত রক্ষীও রয়েছে। প্রভাব জাহির করার চেষ্টা করতেন। নিশুর এই প্রেমিকা কি সত্যিই আর কিছু জানতেন না, সে ব্যাপারে নজর রাখছে পুলিশ। উল্লেখ্য,পটনায় চন্দন মিশ্র হত্যাকাণ্ডে আনন্দপুরের গেস্ট হাউস থেকে শনিবারই গ্রেফতার করা হয় মূল চক্রী তৌসিফ ওরফে বাদশাহকে।