ম্যাচ বাঁচানোর লড়াইয়ে লোকেশ রাহুল ও শুভমান গিল। শনিবার চতুর্থ দিনের খেলার শেষে ভারতের রান ২ উইকেটে ১৭৪ রান। ক্রিজে লোকেশ রাহুল ৮৭ ও গিল ৭৮ রানে। ইংল্যান্ডের থেকে ভারত এখনও পিছিয়ে ১৩৭ রানে।
প্রথম ইনিংসে ভারতের ৩৫৮ রানের জবাবে ইংল্যান্ডের ইনিংস শেষ হয় ৬৬৯ রানে। এককথায় পাহাড় প্রমাণ স্কোর। ভারত ৩১১ রানে পিছিয়ে এই পরিস্থিতিতে দ্বিতীয় ইনিংস খেলতে নামে।খাতা না খুলেই ফিরে যান যশস্বী জয়সওয়াল ও সাই সুদর্শন। দ্বিতীয় ইনিংসের শুরুতেই মুখ থুবড়ে পড়ে ভারতীয় ব্যাটিং। শুন্য রানে হারায় ২ উইকেট। খুব সত্যি বলতে রক্তের গন্ধ ততক্ষণে পেয়ে গিয়েছে ইংল্যান্ড শিবির। ক্রিজে রাহুল–গিল থাকলেও এরপর আরও দু-একটা উইকেট পড়ে গেলেই ম্যাচ চলে আসবে ইংল্যান্ডের মুঠোয়। তবে রাহুল ও গিলের লড়াকু ব্যাটিংয়ে ম্যাচ বাঁচানোর এক আশার আলো দেখছে ভারত।
সেশনের পর সেশন ঠান্ডা মাথায় ব্যাট করেন গিল ও রাহুল। কোনও আগ্রাসী শট, অতিরিক্ত ঝুঁকি নেওয়া কোনও কিছুই ছিল না দুজনের ব্যাটিংয়ে। দিনের শেষে ২১০ বল খেলে ৮৭ রান করে অপরাজিত রয়েছেন কেএ রাহুল। ৮টি চার মেরেছেন তিনি। অপরদিকে, শুভমান গিল অপরাজিত ১৬৭ বলে ৭৮ রানে অপরাজিত রয়েছেন। ১০ চারে সাজানো তাঁর ইনিংস। এদিনের এই দুজনের ভূমিকা উস্কে দিল ইডেনে অজিদের বিরুদ্ধে রাহুল দ্রাবিড় ও ভিভিএস লক্ষ্মণের ইনিংস। যদিও কাজ এখনও রাস্তা যেতে হবে এই দুইজনকে।
তবে ঠিক কী হতে চলেছে এই মুহূর্তে বলা খুবই কঠিন। কারণ খেলাটার নাম ক্রিকেট। বিশেষজ্ঞরা বলেন, মহান অনিশ্চয়তার এক খেলা। পঞ্চম দিন এই দুই ব্যাটারের উপরে অনেক কিছু নির্ভর করছে। বলা যায়, বাঁচা–মরা সবই এই দু‘জনের উপরে। রবিবার তাঁরা যতক্ষণ ক্রিজে কাটাতে পারবেন, ততই মঙ্গল ভারতের। ক্রিকেট দেবতা অবশ্য কোন চিত্রনাট্য লিখে রেখেছেন ম্যানেচেস্টার টেস্টের জন্য, সেটাই দেখার।
এদিকে চতুর্থ দিনেও ভারতীয় বোলিংকে নিয়ে ছেলেখেলা করে ইংল্যান্ড প্রথম ইনিংসে রানের পাহাড় গড়ে। তৃতীয় দিনের শেষে ইংল্যান্ডের রান ছিল ৭ উইকেটে ৫৪৪।
চতুর্থ দিনের শুরুতে বুমরাহর বলে লিয়াম ডসন (২৬) আউট হলেও ইংল্যান্ড অধিনায়ক স্টোকস ছিলেন দুরন্ত। তাঁকে রোখে কার সাধ্যি! স্টোকস খেললেন ১৪১ রানের ইনিংস। ব্রাইডন কার্সকে সঙ্গে নিয়ে ৯৫ রানের পার্টনারশিপ গড়েন তিনি। সেঞ্চুরি হয়ে যাওয়ার পর স্টোকস আরও গতি আনেন নিজের ব্যাটিংয়ে। ভারতীয় বোলারদের নিয়ে রীতিমতো ছেলেখেলা করলেন স্টোকস। ১৬৪ বলে সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছিলেন। বাকি ৪১ রান করেন ৩৪ বলে।শেষমেশ জাদেজার বলে তাঁর ক্যাচ ধরেন সাই সুদর্শন। স্টোকসের ইনিংস সাজানো ছিল ১১টি চার ও ৩টি ছক্কা। ব্যক্তিগত ৪৭ রানে আউট হন কার্স। তিনি জাদেজার শিকার। ভারতীয় বোলিং নির্বিষ দেখায়। জাদেজা চার–চারটি উইকেট নেন। বুমরাহ ও ওয়াশিংটন সুন্দর ২টি করে উইকেট নেন। সিরাজ এবং অংশুল কম্বোজের নামের পাশে লেখা একটি করে উইকেট। কিন্তু বুমরাহর কাছ থেকে প্রত্যাশিত বোলিং দেখা গেল না। তাঁর গতি কমেছে ম্যানচেস্টারে।