বাংলায় কংগ্রেসের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড বাড়ানোর নির্দেশ দিলেন রাহুল গান্ধি। তাৎপর্যপূর্ণভাবে অধীর চৌধুরীকেই সেই নির্দেশ দিয়েছেন রাহুল। সূত্রের খবর, অধীর চৌধুরীকে ডেকে পাঠিয়েছিলেন রাহুল। দীর্ঘ বৈঠক হয় রাহুল ও অধীরের। বাংলায় যেখানেই প্রয়োজন সেখানেই যাওয়ার নির্দেশ দেন অধীরকে। সূত্রের দাবি, অধীরকে রাহুল বলেন, ‘লড়াইতে হার-জিত আছে’।
টানা পাঁচবার বহরমপুর লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ ছিলেন অধীর। এই প্রথমবার তাঁকে হারিয়ে বহরমপুর পায় তৃণমূল কংগ্রেস। সাংসদ হন ক্রিকেটার তারকা ইউসুফ পাঠান। বহরমপুরে অধীরের হার কার্যত ভোটের রাজনীতিতে ইন্দ্রপতন বলেই মন্তব্য করেছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ থেকে আমজনতা। আর এসবের মধ্যেই জোট-জট নিয়ে দিল্লির সঙ্গে সম্পর্কে কিছুটা চড়াই উতরাই-ও চলেছে অধীরের। অন্যদিকে আবার প্রদেশ কংগ্রস সভাপতি পদ ছেড়েছেন অধীর। পদ ছাড়ার পরই দিল্লির কংগ্রেস নেতৃত্বের আচরণে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন অধীর। দিল্লির বৈঠকে অধীরকে ‘প্রাক্তন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি’ বলে সম্বোধন করায় রাজ্যের এআইসিসি পর্যবেক্ষক গোলাম মীরের উপর বেজায় চটেন তিনি। প্রকাশ্যেই বলেন, ‘এখন বাংলায় দু’জন এআইসির নেতা, গোলাম মীর আর সিং সাহেব বলে একজন। এরাই এখন রাজ্যর মাথা হয়েছে। এরা রাজ্যের কিছু বিশেষ বিশেষ লোককে চেনে। সব লোককে চেনে বলে আমার জানা নেই।’ এরপরই অধীরকে নিয়ে নানা জল্পনা শুরু হয়। এবার অধীরকে ‘শান্ত’ করতে ময়দানে নামতে দেখা যায় রাহুল গান্ধিকেই।