নিম্নচাপ ও মৌসুমি অক্ষরেখার সক্রিয়তার কারণে টানা বৃষ্টিতে ভিজছে গোটা রাজ্য। মঙ্গলবারের পর বুধবারও একাধিক জেলায় বৃষ্টি অব্যাহত। তবে র মাঝে আশার কথা শুনিয়েছে হাওয়া অফিস। আবহাওয়ার উন্নতি হতে পারে বৃহস্পতিবার থেকে, বলছেন আলিপুরের আবহাওয়াবিদরা। যদিও এই মুহূর্তে রাজ্যে নিম্নচাপ এবং মৌসুমি বায়ুর সক্রিয়তায় আপাতত বৃষ্টি থেকে স্বস্তির কোনও সম্ভাবনাই নেই।
আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের তরফ থেকে এও জানানো হয়েছে, ঝাড়খণ্ড সংলগ্ন গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের উপর নিম্নচাপটি অবস্থান করছে এবং এর সঙ্গে যুক্ত ঘূর্ণিঝড়টি ৭.৬ কিমি উচ্চতায় বিস্তৃত। আগামী ৪৮ ঘণ্টায় এটি পশ্চিম–উত্তর–পশ্চিম দিকে এগিয়ে যাবে। মৌসুমি অক্ষরেখাও এখন প্রয়াগরাজ, ডালটনগঞ্জ হয়ে নিম্নচাপ কেন্দ্রের উপর দিয়ে উত্তর–পূর্ব বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। ফলে এর প্রভাবে বৃষ্টির গতি এখনই থামছে না।
আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, বৃহস্পতি, শুক্র ও শনিবার উত্তরবঙ্গের সব জেলাতেই বজ্রবিদ্যুৎ–সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে । তার মধ্যে দার্জিলিং, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার ও জলপাইগুড়িতে বৃষ্টির সম্ভাবনা বেশি থাকবে । এরপর রবিবার জলপাইগুড়ি এবং আলিপুরদুয়ার জেলায় বিক্ষিপ্তভাবে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে । সোমবার বিক্ষিপ্তভাবে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকবে দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি ও আলিপুরদুয়ার জেলায়।
এর পাশাপাশি আলিপুরের তরফ থেকে এও জানানো হয়েছে, মঙ্গলবার কলকাতা এবং তারপার্শ্ববর্তী অঞ্চলে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৭.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস ৷ যা স্বাভাবিকের চেয়ে ৫.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস নিচে । সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস । বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল সর্বোচ্চ ৯৮এবং সর্বনিম্ন ৯৩ শতাংশ । গত ২৪ ঘণ্টায় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ৮৭.৫ মিলিমিটার। এই পরিমাণ বৃষ্টির ফলেই সর্বোচ্চ তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে পাঁচ ডিগ্রিরও বেশি নেমে গিয়েছে।
এদিকে বৃষ্টির জেরে শিলাবতী ও কংসাবতীর জলস্তর বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা। ঝাড়খণ্ডে বৃষ্টিপাত বৃদ্ধি পাওয়ায় ডিভিসি–র জল ছাড়ার সম্ভাবনাও বেড়েছে। সেই জলে প্লাবনের আশঙ্কা হাওড়া ও হুগলির মতো নিচু এলাকায়। জল জমে ভোগান্তি বাড়তে পারে বলেই আশঙ্কা করছেন প্রশাসনিক মহল।