প্রতিবাদের ধ্বনিতে মিলে মিশে একাকার ময়দানের তিন প্রতিদ্বন্দ্বী

ময়দানের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ইস্টবেঙ্গল ও মোহনবাগান মিলেমিশে একাকার। শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ করতে চেয়েছিলেন দু-দলের সমর্থকেরাই। কিন্তু তা আর হল কই!আজ ইস্টবেঙ্গল বনাম মোহনবাগানে কোনও দ্বন্দ্ব নয়, যুবভারতীতে দুই প্রতিপক্ষর সমর্থক একজোট হয়েছেন আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে। ফুটবলপ্রেমীদের পুলিশের পক্ষ থেকে ভিআইপি গেটের ২০০ মিটার দূরে সরে গিয়ে প্রতিবাদ করতে বলা হয়েছিল। তাঁরা সেটাই মেনে ভিআইপি গেট থেকে দূরে সরে যান। কিন্তু তারপরও ফুটবলপ্রেমীদের উপর লাঠিচার্জ শুরু করে পুলিশ।

আশঙ্কা একটা ছিলই যে রণক্ষেত্র হতে পারে যুবভারতী চত্বর। তবে তা ঘটল পুলিশের অপরিনামদর্শিতার জন্যই। পুলিশ প্রতিবাদী ফুটবল সমর্থদের নিয়ন্ত্রণে আনতে লাঠিচার্জ শুরু করে। আর এতেই ফুটবল সমর্থকদের বিক্ষোভে স্তব্ধ হয়ে যায় যুবভারতী সংলগ্ন এলাকা। এদিকে যুবভারতী চত্বরে মোতায়েন থাকা প্রচুর পুলিশ একে একে একাধিক ফুটবলপ্রেমীদের টেনে হিঁচড়ে প্রিজন ভ্যানে তোলে। এর থেকে রেহাই পাননি মহিলা সমর্থকরাও। তাঁদের উপরও লাঠিচার্জ করা হয়।

পুলিশ রীতিমতো তিন প্রধানের সমর্থকদের তাড়া করে ছত্রভঙ্গ করলেও ফুটবল প্রেমীদের প্রতিবাদ থামেনি। ওই ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান এআইএফএফ প্রেসিডেন্ট কল্যাণ চৌবে। তিনি বলেন, ‘যাদের আটক করা হয়েছিল, ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। ফুটবল সমর্থকদের জয়।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

6 + 18 =