ফের রাজ্য পুলিশের ডিজি হলেন রাজীব কুমার। লোকসভা নির্বাচনের আগেই এই পদ থেকে তাঁকে সরানো হয়েছিল। আবারও ফিরলেন সেই পদেই। সঞ্জয় মুখোপাধ্যায়কে সরানো হয়েছে ডিজি ফায়ার সার্ভিসেসে।
ভোটের আগে সন্দেশখালি ইস্যুতে যখন রাজ্য উত্তাল, সে সময় ডিজি পদে ছিলেন রাজীব কুমারই। উত্তাল সন্দেশখালি কড়া হাতে সামাল দিয়েছিলেন তিনি। তবে লোকসভা নির্বাচনের আগে ১৮ মার্চ রাজ্য পুলিশের ডিজি পদ থেকে রাজীব কুমারকে সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল জাতীয় নির্বাচন কমিশন। রাজীব কুমারকে তথ্য-প্রযুক্তি দফতর সচিব পদে বসানো হয়। একইসঙ্গে জানানো হয়েছিল, নির্বাচন সংক্রান্ত কোনও দায়িত্বে তিনি থাকতে পারবেন না।
নির্বাচনের আগে রাজীব কুমারকে সরানোর পর অস্থায়ী ভাবে ডিজি হন আইপিএস বিবেক সহায়। এরপর ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই রাজ্য পুলিশের ডিজি হিসেবে আইপিএস সঞ্জয় মুখোপাধ্যায়কে নিয়োগ করে নির্বাচন কমিশন। রাজীব কুমারের জায়গায় রাজ্য পুলিশের ডিজির পদে নিয়োগের জন্য ৩ জন আধিকারিকের নাম পাঠানো হয়েছিল। সঞ্জয় মুখোপাধ্যায়ের নাম চূড়ান্ত করে কমিশন। সেই থেকে রাজ্য পুলিশের ডিজি পদে ছিলেন তিনি। উল্লেখ্য, মনোজ মালব্যের অবসরের পর রাজীব কুমারকে রাজ্য সরকার কার্যনির্বাহী ডিজিপি (অ্যাক্টিং) পদে নিয়োগ করেছিল।
এরপর ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে প্রায় দেড় মাস হয়ে গিয়েছে। এর মাঝে অবশ্য ছয়টি কেন্দ্রে বিধানসভা উপনির্বাচন হয়ে গিয়েছে। এরপরেই রাজ্য পুলিশে ডিজি পদে রদবদল।
১৯৮৯ ব্যাচের আইপিএস অফিসার রাজীব কুমার। কেরিয়ারের একেবারে শুরুতে দক্ষ অফিসার হিসাবে প্রশংসিত হন তিনি। একসময় এসটিএফ-এর শীর্ষ পদে ছিলেন। বিধাননগরের পুলিশ কমিশনার পদও সামলেছেন। ২০১৬ সালে কলকাতার পুলিশ কমিশনার হিসাবে যোগ দেন।
এখানে বলে রাখা শ্রেয়, উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা রাজীব কুমার রুরকি থেকে কম্পিউটর সায়েন্সে বি-টেক। ১৯৮৯ সালের আইপিএস ব্যাচের সদস্য তিনি। কর্মজীবনে একাধিক হাইপ্রোফাইল কেস সমাধান করতে সক্ষম হয়েছেন তিনি। ২০১৬ সালে তিনি কলকাতা পুলিশ কমিশনার হিসেবে নিযুক্ত হন। কলকাতা পুলিশের কমিশনার পদে থাকাকালীন ২০১৯ সালে জোরাল বিতর্কের মুখে পড়তে হয় এই দুঁদে আইপিএসকে। রাজীব কুমারের বাড়িতে হানা দিয়েছিল সিবিআই। কলকাতার তৎকালীন নগরপালের নিরাপত্তারক্ষীরা ভিতরে ঢুকতে দেয়নি তদন্তকারীদের। তবে এই ঘটনায় অত্যন্ত বিরক্ত হন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । প্রতিবাদে ধরনায় বসেছিলেন তিনি।