বৃহস্পতিবার সকালেও সন্দেশখালিতে রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার। সন্দেশখালির জেটি ঘাট লাগোয়া পিডব্লুডির গেস্ট হাউসে রাত্রিবাস করেছেন ডিজি। সূত্রের খবর, বুধবার রাতভর স্থানীয় পুলিশকে বিভিন্ন নির্দেশ দিয়েছেন ডিজি। এমনকী একসময় মাঝরাতে বাইকে চেপে বেরিয়ে এলাকার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ এলাকা ঘুরে দেখেন তিনি। একইসঙ্গে বিশাল পুলিশ বাহিনীকে এলাকায় টহল দিতেও দেখা গিয়েছে। প্রসঙ্গত, এদিনেই সন্দেশখালি যান রাজীব কুমার। লঞ্চে করে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে দেখেন রাজ্য পুলিশের ডিজি। নদী পথে সেতুলিয়া সর্দারপাড়ার দিকেও যেতে দেখা যায় তাঁকে। পাশাপাশি সন্দেশখালি থানায় আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন। বৃস্পতিবারও সন্দেশখালি থানায় যাওয়ার কথা রয়েছে তাঁর। তবে বুধবার তিনি স্পষ্ট বলেন, ‘আজকে আমি দেখে নিই, কালকে জানাব।’ আজ রাজীব কুমার বলেন, ‘ফোর্স ও অফিসারদের সঙ্গে কথা বলতে এসেছিলাম। মানুষের প্রতি যা কর্তব্য আছে তা পালন করব। যাদের যে যে সমস্যা আছে, আমরা সকলের ব্যবস্থা করব, যে যে আইন ভেঙেছে, তাদের প্রত্যেকের শাস্তি হবে।’ বৃহস্পতিবার সকালে ধামাখালির দিকে যান রাজীব কুমার।
এদিকে বৃহস্পতিবারই সন্দেশখালিতে পৌঁছচ্ছে জাতীয় এসটি কমিশন। ইতিমধ্যে সন্দেশখালিকাণ্ডে মুখ্যসচিব ও ডিজিকে নোটিশ দিয়েছে জাতীয় এসটি কমিশন। কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছে তারা। কমিশনের হুঁশিয়ারি, ‘কী পদক্ষেপ সন্দেশখালিকাণ্ডে, জানাতে হবে ৩ দিনের মধ্যে, ৩ দিনের মধ্যে জবাব না মিললে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা।’ এর আগে গত ১৩ ফেব্রুয়ারি সন্দেশখালিতে আসে জাতীয় মহিলা কমিশন। সূত্রে খবর, শেখ শাহাজাহানকে গ্ৰেফতার করতে বিশাল পুলিশ বাহিনী পুরো এলাকা ঘিরছে।