বিকৃত ও অশ্লীল ছবি ছড়ানোর অভিযোগে অবশেষে অভিযোগ দায়ের রাজন্যার

নিজের বিকৃত ও অশ্লীল ছবি ছড়ানোর অভিযোগে অবশেষে সোনারপুর থানায় পুলিশের দ্বারস্থ তৃণমূল ছাত্র পরিষদের বহিষ্কৃত নেত্রী রাজন্যা হালদার। মুখ খোলার ১৩ দিন পর শনিবার তিনি এ ব্যাপারে অভিযোগ দায়ের করেন সোনারপুর থানায়।রাজন্যার অভিযোগ, কসবার লকলেজ ধর্ষণকাণ্ডের পরেই তাঁকে টার্গেট করে সামাজিক ও রাজনৈতিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার উদ্দেশ্যে এই ছবি ছড়ানো হয়। তাঁর দাবি, এআই ব্যবহার করে তৈরি করা এইসব বিকৃত ছবি ছড়ানো হয়েছিল ছাত্রছাত্রীদের ফোনে, যাতে তাঁর ভাবমূর্তি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

ঘটনার সঙ্গে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের একাংশের যোগ রয়েছে বলেও ইঙ্গিত করেন রাজন্যা। যদিও এফআইআরে নির্দিষ্ট কারও নাম উল্লেখ করেননি, তবে পুলিশ চাইলে অভিযুক্তদের কয়েকজনের নাম জানাতে রাজি বলে জানান তিনি। এর পাশাপাশি অভিযোগপত্রে রাজন্যা তাঁর বিরুদ্ধে ছড়ানো কিছু ছবি পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছেন এবং ছবি বিকৃত কি না, তা প্রযুক্তিগতভাবে যাচাই করে রিপোর্ট দিতে অনুরোধ করেন। পাশাপাশি দ্রুত তদন্ত করে দোষীদের শাস্তির দাবিও জানান তিনি।

এদিকে দীর্ঘদিন ধরে বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক চললেও এতদিন পুলিশে অভিযোগ না জানানোর কারণে বিরোধীরা যেমন প্রশ্ন তুলছিল, তেমনি শাসকদলের মধ্যে থেকেও ওঠে প্রশ্ন। শাসকদলের পক্ষ থেকে এই অভিযোগকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে দাবি করা হয়েছিল। কলকাতা পুরসভার ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষের কন্যা তথা মহিলা তৃণমূল নেত্রী প্রিয়দর্শিনী ঘোষ সরাসরি প্রশ্ন তুলেছিলেন, ‘এখনই কেন মুখ খুললেন রাজন্যা? এতদিন চুপ কেন ছিলেন?’ তাঁর মতে, এত গুরুতর অভিযোগ থাকলে সঙ্গে সঙ্গে দলের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জানানো উচিত ছিল রাজন্যার। তবে বিজেপির শঙ্কর ঘোষও রাজন্যাকে পরামর্শ দেন অভিযোগ দায়ের করার। এর পাশাপাশি  এই বিতর্কের মাঝে  বিজেপি নেতা সজল ঘোষ  রাজন্যাকে ফোন করেছিলেন। সেই ফোনালাপ নিয়েও শুরু হয় জোর গুঞ্জন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

2 × three =