রাজন্যার বিজেপিতে যোগদান ঘিরে জল্পনা ওড়ালেন যুবতৃণমূল নেত্রী স্বয়ং

গত বছর ২১ জুলাইয়ের মঞ্চ থেকে তৃণমূলের যুব মুখ হিসেবে বিশেষভাবে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে রাজন্যা হালদারের নাম। সোশ্যাল মিডিয়ার সুবাদে এই তরুণ তুর্কি রাজনৈতিক মহলে ধীরে ধীরে নিজের নাম এবং জায়গা তৈরি করে ফেলেছেন ইতিমধ্যেই। এদিকে ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনের ঠিক আগে এক জল্পনা ছড়াল এই রাজন্যাকে কেন্দ্র করেই। কানাঘুষো এমনও নাকি শোনা যাচ্ছিল, রাজন্যা  যোগদান দিতে পারেন বিজেপিতে।

এবার এই যাবতীয় জল্পনার মধ্যেই মুখ খুলতে দেখা গেল তৃণমূলের ফায়ারব্র্যান্ড ছাত্রনেত্রী রাজন্যা হালদারকে। তিনি দাবি করেন, তাঁর কাছে বিজেপির তরফে যোগদানের প্রস্তাব এসেছিল। কিন্তু, তিনি সেই প্রস্তাবে রাজি হননি। এই প্রসঙ্গে তিনি এও বলেন, ‘আগামী ১০ মার্চ জনগর্জন সভার ডাক দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আমার সঙ্গে বিজেপির তরফে যোগাযোগ করা হয়েছিল। কিন্তু, আমার স্পষ্ট উত্তর ছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ছেড়ে কখনই অন্য দলে যোগদান করব না।’

এখানেই শেষ নয়, তিনি আরও বলেন, ‘বিজেপির তরফে এমপি টিকিটের প্রলোভন দেওয়া হয়। বলা হয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস আকণ্ঠ দুর্নীতিতে ডুবে রয়েছে। সেই জায়গা থেকে যদি দল ছাড়ি এবং বিজেপিতে যোগদান করতে চাই তাহলে করতে পারি। রাজ্যের তরফে যোগাযোগ করেছিল। চার পাঁচদিন আগে যোগাযোগ করে। ফোনে যোগাযোগ করা হয়।’ সঙ্গে রাজন্যা এও বলেন, বারবার যে দুর্নীতির কথা বিজেপি বলে তা বিজেপিই তৈরি করেছে। ফলে আমার উত্তর না ছিল, আছে, থাকবে।

রাজন্যার এই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, ‘এই বিষয়টি নিয়ে কিছু জানা নেই। তাই কোনও মন্তব্য করব না।’ একই কথা শোনা যায় বিজেপি নেতা রাহুল সিনহার কণ্ঠেও। আগামী ১০ তারিখ ব্রিগেডে জনগর্জন সভার ডাক দেওয়া হয়েছে তৃণমূলের পক্ষ থেকে। সেই সভা থেকে উল্লেখযোগ্য বার্তা দিতে পারেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁরা কী বার্তা দেন, এখন সব নজর সেই দিকেই। লোকসভা নির্বাচনের আগে রাজন্যার এই দাবি ঘিরে রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে। এই গোটা বিষয় নিয়ে বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা অবশ্য মুখ খুলতে রাজি হননি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

2 + twenty =