রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ। অভিযোগকারী এক নৃত্যশিল্পী। অভিযোগ, ওই নৃত্যশিল্পীকে দিল্লিতে নিয়ে গিয়ে এক হোটেলে ধর্ষণ করেছেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। কয়েক মাস আগেই এই নৃত্যশিল্পী এই মর্মে কলকাতা পুলিশে দায়ের করেন। এরপর কলকাতা পুলিশের তরফ থেকে তদন্ত রিপোর্ট নবান্নে পাঠানোয় বিষয়টি সামনে আসে।
ওই নৃত্যশিল্পীর দায়ের করা অভিযোগের বয়ান অনুসারে, কয়েক মাস আগে এক নামী সঙ্গীতশিল্পীর মাধ্যমে কলকাতায় রাজভবনে যান তিনি। তারপর থেকে রাজ্যপালের সঙ্গে তাঁর আলাপ-কথাবার্তা হতে থাকে। নিজের ব্যক্তিগত সমস্যায় জর্জরিত ওই নৃত্যশিল্পী রাজ্যপালকে তাঁর সমস্যার কথা জানিয়েছিলেন। তারই প্রেক্ষিতে তাঁকে ভারতের এক উচ্চপদস্থ আমলার পরিচয় করিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন রাজ্যপাল। সঙ্গে জানিয়েছিলেন সমস্যা মিটবে ওই নৃত্যশিল্পীর। সেই মতো দিল্লিতে তাঁকে নিয়ে গিয়ে এক হোটেলে রাখা হয়। এরপর দিল্লির ওই হোটেলেই রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস তাঁকে ধর্ষণ করেন। ৬-৭ মাস আগের এই ঘটনায় ওই নৃত্যশিল্পী কলকাতা পুলিশ কমিশনারের কাছে তখনই অভিযোগ দায়ের করেন বলে দাবি।
এদিকে আবার কয়েকদিন আগেই রাজভবনের এক অস্থায়ী কর্মী রাজ্যপালের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ দায়ের করলে কলকাতা পুলিশ আগের এই অভিযোগ নবান্নে পাঠিয়েছে পরবর্তী পদক্ষেপের জন্য।
সপ্তাহ দুয়েক আগে শ্লীলতাহানির অভিযোগ ওঠায় এমনিতেই অস্বস্তিতে রাজ্যপাল। এরপর ডিসি সেন্ট্রাল ইন্দিরা মুখোপাধ্যায় সাংবাদিক বৈঠক করে বিষয়টি প্রকাশ্যে আনেন। বিষয়টি নিয়ে সরব হন শাসক নেতৃত্ব। মুখ খোলেন চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, শশী পাঁজা। সরব হন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। অন্যদিকে রাজভবনও বিবৃতি জারি করে চন্দ্রিমার রাজভবনে প্রবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে। ইতিমধ্যেই রাজভবনের তরফে একটি ভিডিয়ো ফুটেজ প্রকাশ করা হয়েছে। সেখানে ওই মহিলা কর্মীকে হেঁটে রাজভবনের গেটের সামনে দিয়ে যেতে দেখা গিয়েছে। যদিও ভিডিয়ো ফুটেজের ভিত্তিতে কলকাতা পুলিশ দাবি করেছে, ওই মহিলাকে কাঁদতে দেখা গিয়েছে। করিডরের ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আনার দাবি জানিয়েছেন অভিষেক। এরই মধ্যেই এবার রাজ্যপালের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ সামনে এল।