পুলিশের তদন্ত প্রক্রিয়া ও ভূমিকা নিয়েও উঠেছে প্রশ্ন। এই পরিস্থিতির মধ্যেই সামনে এল পুলিশের বিরুদ্ধে চরম গাফিলতির অভিযোগ। একটি ধর্ষণের মামলায় পুলিশ সঠিকভাবে তদন্ত করেনি বলে অভিযোগ উঠেছে। এমনকী অভিযোগ বদলে দিয়ে লঘু ধারা দেওয়া হয়েছে বলেও দাবি অভিযোগকারিণীর। কলকাতার লেক থানার ঘটনা। অভিযোগকারিণীর আবেদনের ভিত্তিতে হওয়া মামলার শুনানি ছিল বুধবার। গত ১৫ জুলাইয়ের ঘটনা। পেশায় তথ্য প্রযুক্তি সংস্থার উচ্চপদস্থ কর্ত্রী ওই মহিলার স্বামী আইএএস অফিসার। তিনি কর্মসূত্রে মুম্বইতে থাকেন। তাঁর অভিযোগ ছিল, বছর ৫৩-র এক পারিবারিক বন্ধু মদ্যপ অবস্থায় তাঁর ফাঁকা বাড়িতে ঢুকে ভয় দেখিয়ে, বিবস্ত্র করে, নানাভাবে শারীরিক অত্যাচার করে। শেষ পর্যন্ত চিৎকার করে তিনি কোনওভাবে মদ্যপের হাত থেকে রেহাই পান বলে দাবি অভিযোগকারিণীর।
ঘটনার দিনই লেক থানায় গোটা ঘটনা জানিয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। সেদিন সন্ধ্যায় পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে। তবে, পরদিন আলিপুর আদালতে তোলা হলে তদন্তে বহু ত্রুটি আছে বলে উল্লেখ করে আদালত। অভিযোগ, নতুন ফৌজদারি আইনে এমন গুরুতর অভিযোগের ক্ষেত্রে মহিলা পুলিশ অফিসারকে তদন্তে নিযুক্ত করার কথা। কিন্তু এক্ষেত্রে তা করা হয়নি । পুরুষ অফিসারকে তদন্তের দায়িত্ব দেন থানার আইসি। শুধু তাই নয়, মহিলার অভিযোগ, অভিযোগপত্রের সবচেয়ে গুরুতর অংশ আংশিক বদলে তুলনায় লঘু ধারা প্রয়োগ করা হয়, যার জেরে অভিযুক্তকে নিম্ন আদালতে তোলা হলে সেদিনই তাকে জামিন দেয় আলিপুর কোর্ট। আলিপুর আদালত লালবাজারকে তদন্তে ত্রুটি নিয়ে সতর্ক করে। এদিকে বুধবার বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের বেঞ্চে ছিল সেই মামলার শুনানি। পুলিশের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ শুনে অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনারকে নজরদারির নির্দেশ দিয়েছে আদালত। আগামী ২৩ অগাস্ট মামলার পরবর্তী শুনানি।