মাকে ধর্ষণ, যাবজ্জীবন কারদণ্ডের নির্দেশ

মা-কে দু’বার ধর্ষণের অভিযোগে এক যুবককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দিল আদালত। ঘটনাটি ঘটে কলকাতার হরিদেবপুরের। ওই যুবক মাদকাসক্ত ছিল বলে জানা যাচ্ছে। মাদক আসক্তির কারণে ২০১৯ সালের আগে ৭ বার নেশামুক্তি কেন্দ্রেও পাঠান হয় তাকে। আদালত সূত্রে খবর, গত ২০১৯ সালে ৫ মে হরিদেবপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন বছর ৬৫-র ওই মহিলা। ওই মহিলা জানান, তাঁর বড় ছেলে বিয়ে করার পর স্ত্রীকে নিয়ে অন্য বাড়িতে চলে গিয়েছেন। সেই কারণে তিনি তাঁর ছোট ছেলের সঙ্গেই থাকেন। মহিলার অভিযোগ ছিল, তাঁকে প্রথমবার ধর্ষণ করা হয় ১৪ এপ্রিল। কিন্তু সামাজিক লজ্জার ভয়ে সেই সময় তিনি চুপ ছিলেন। এরপর ৫ মে ফের ধর্ষণ করা হয় তাঁকে। আর দ্বিতীয়বার আরও নৃশংসতার সঙ্গে ধর্ষণ করা হয়। এরপরই মহিলার অভিযোগের ভিত্তিতে তাঁর ছেলেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। প্রায় সাড়ে সাত মাস জেলে রাখা হয় তাকে। আর এবার মেডিক্যাল রিপোর্ট, নির্যাতিতার বয়ান এবং ৭ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যদানের ভিত্তিতে এই রায় দেন বিচারক। সাক্ষীদের মধ্যে রয়েছেন নিগৃহীতার বড় ছেলে,দুই ভাড়াটে ও দু’জন চিকিৎসক। ওই দুই চিকিৎসকের মধ্যে একজন পরীক্ষা করেন মহিলাকে,অপরজন পরীক্ষা করেন অভিযুক্তকে। পাশাপাশি ৫০ হাজার টাকা জরিমানার নির্দেশও দেওয়া হয়।
প্রসঙ্গত,এর আগে ২০১৮ সালে মধ্যপ্রদেশের বারওয়ানিতেও এই ধরণের একটি ঘটনার কথা সামনে এসেছিল। বারওয়ানি জেলার সুরানি গ্রামে বছর ৪৫-এর এক মহিলা ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। ঘটনায় অভিযোগের তির ছিল মহিলারই ছেলের দিকে। পুলিশ জানায়, ঘটনার সময় বাড়িতে একাই ছিলেন ওই মহিলা, ঘুমোচ্ছিলেন তিনি। বাবা-মায়ের সঙ্গে সুরানির গ্রামের বাড়িতে থাকত অভিযুক্ত ওই যুবক। সঙ্গে থাকত যুবকের তিন সন্তানও। পুলিশ জানায়, ঘটনার বছর দুয়েক আগে ওই যুবককে ছেড়ে চলে যান তার স্ত্রী। অভিযোগ, ঘটনার দিন মায়ের উপর জোরজবরদস্তি শুরু করে ওই যুবক। কিন্তু মা বাধা দেওয়ায় প্রথমে তাঁর গলায় একটি শিকল বেঁধে দেয় অভিযুক্ত। এরপরই ধর্ষণ করে মা-কে। এদিকে এই ঘটনার সময় সামনেই দাঁড়িয়েছিল ছিল অভিযুক্তের ৭ বছরের ছেলে। গোটা ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে পড়ে সে। ঘটনার পরের দিন আত্মীয়দের সবটা জানান ওই মহিলা। আত্মীয়রাই খবর দেন পুলিশে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

three × one =