রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ। আর জগন্নাথের এই দুর্নীতি নিয়ে বিস্তারিত খোঁজ–খবর নিতে নবান্নকে চিঠি রাষ্ট্রপতি ভবনের সচিবালয়ের। এদিকে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর দাবি, এই বিষয়ে তিনি এখনও জানেন না। তবে নিজের বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ উড়িয়েছেন জগন্নাথ।
২০২৬-এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে যখন বঙ্গ স্যাফ্রন ব্রিগেড মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছে এক স্বচ্ছ ভাবমূর্তি আমজনতার সামনে তুলে ধরার ঠিক তখনই দলেরই সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে উঠল দুর্নীতির অভিযোগ। জানা যাচ্ছে, জগন্নাথের বিরুদ্ধে উঠেছে আয় বহির্ভূত সম্পত্তি বেনামে লেনদেনের অভিযোগও। একইসঙ্গে নাম জড়িয়েছে আর্থিক তছরুপের ক্ষেত্রেও।
এদিকে সূত্রে খবর, উদয় সিং নামে এক জনৈক ব্যক্তি ইডি–সিবিআই–এর দফতরে জগন্নাথের সম্পত্তি নিয়ে অভিযোগ জানান। সেই অভিযোগেরই সত্যতা খতিয়ে দেখতে তৎপর হয় রাইসিনা হিল। এরপরই নবান্নকে গোটা বিষয়টি তদন্তের নির্দেশ দেয় রাষ্ট্রপতির সচিবালয় দফতর। পাশাপাশি তদন্তে যা উঠে আসবে তার সম্পূর্ণ তথ্য অভিযোগকারীকেও জানানোর নির্দেশ দেন তিনি।
এ দিকে, এই ঘটনার বিষয়ে জগন্নাথ জানান, ‘এটা মিথ্যা অভিযোগ। আমার কোনও বেআইনি সম্পত্তি নেই। আয় বহির্ভূত কিছুই নয়। বিরোধীরা এই সব করে থামাতে পারবেন না।’
এই প্রসঙ্গে বলে রাখা শ্রেয়, আরএসএস–এর দীর্ঘদিনের কর্মী জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়। একসময় কলকাতার এক বিখ্যাত সংবাদ সংস্থায় সাংবাদিক হিসেবে কাজও করেছেন। এরপর ২০২১ সালে হঠাত্–ই সাংবাদিক পেশা থেকে সরে এসে বিধানসভা নির্বাচনে সিউড়ি কেন্দ্র থেকে দাঁড়ান। তবে পরাজিত হন তিনি।