২৪ জন যোগ চিকিৎসকদের রেজিস্ট্রেশন বাতিল করল রাজ্য যোগ কাউন্সিল। স্বাস্থ্য ভবনের রিপোর্টে এই ২৪ জনের বিরুদ্ধে মেলে পাহাড় প্রমাণ দুর্নীতির হদিশ। যোগ কাউন্সিলে চিকিৎসক হিসাবে যাঁদের শংসাপত্র দেওয়া হয়েছে, সেই সার্টিফিকেটগুলো ভুয়ো। কারণ তাঁদের সেই যোগ্যতাই নেই। রিপোর্ট বলছে, পরীক্ষা না নিয়েই টাকার বিনিময়ে ২৪ জনকে যোগ চিকিৎসকের স্বীকৃতি দিয়েছে কাউন্সিল।টাকার বিনিময়ে সেই সার্টিফিকেট দেওয়া হয়েছে বলেই স্বাস্থ্যভবন সূত্রে খবর। এরপর আগামী সাতদিনের মধ্যে ভুয়ো যোগ চিকিৎসকদের শংসাপত্র ফিরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সূত্রে এ খবরও মিলেছে, কাউন্সিলের দুর্নীতি নিয়ে রাজ্যপালের কাছে প্রথমে অভিযোগ করেন এক ব্যক্তি। সেই অভিযোগের প্রেক্ষিতে স্বাস্থ্য ভবনকে তদন্তের জন্য চিঠি দেন রাজ্যপাল। রাজভবনের চিঠি পেয়ে গত ২৭ অগস্ট কাউন্সিলের কাছে রিপোর্ট তলব করে স্বাস্থ্য ভবন। সেই রিপোর্টেই হদিস মেলে পাহাড় প্রমাণ দুর্নীতির তথ্য।
প্রসঙ্গত, ২০২১ সালে যোগ চিকিৎসক হিসাবে ২৭২ জনের পরীক্ষা নেওয়ার জন্য বিজ্ঞপ্তি জারি করে স্বাস্থ্য ভবনের আয়ুষ ব্রাঞ্চ। বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, তিন দফায় পরীক্ষা নেওয়ার কথা স্বাস্থ্য ভবনকে জানানো হয়। অভিযুক্ত রেজিস্ট্রার শুভ্র ভট্টাচার্যের দাবি ছিল, প্রথম দফার পরীক্ষা হয়েছে ২০২৩ সালের ১ সেপ্টেম্বর। তদন্তে নেমে কাউন্সিল জানতে পারে ওই দিন কোনও পরীক্ষাই হয়নি। এরপর ২০২৪ সালের ১৩-২০ জানুয়ারি পরীক্ষাতেও অনিয়মের অভিযোগ ওঠে। পরীক্ষায় বসার জন্য যোগের অভিজ্ঞতা রয়েছে এই মর্মে শংসাপত্র প্রয়োজন। কাউন্সিল সূত্রের খবর, যিনি পরীক্ষা নিচ্ছেন সেই প্রাক্তন রেজিস্ট্রার শুভ্র ভট্টাচার্যই আবেদনকারীর অভিজ্ঞতার শংসাপত্রে সই করেছেন।দুর্নীতির কথা স্বীকার করেন কাউন্সিল সভাপতি তুষার শীল। প্রাক্তন রেজিস্ট্রার শুভ্র ভট্টাচার্য তাঁকে অন্ধকারে রেখে দুর্নীতি করেছে বলে দাবি করেছিলেন সভাপতি তুষার শীল। প্রাক্তন রেজিস্ট্রার আবার আঙুল তুলেছেন সভাপতির দিকে।