ডিজিপি রাজীব কুমারের সঙ্গে বৈঠকে সব ইস্যুতে তাঁরা সহমত হতে পারেননি বলে জানালেন জাতীয় মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন রেখা শর্মা। তবে সন্দেশখলির ঘটনায় পুলিশের ওপরেও চাপ রয়েছে বলে মনে করছেন তিনি। তবে পুলিশ গাফিলতির কথা স্বীকার করেছেন বলে জানান রেখা শর্মা। রেখা শর্মা এ বিষয়ে স্পষ্ট জানান, কিছু বিষয়ে রাজ্য পুলিশের ডিজি সম্মতি জানালেও অনেকে বিষয়েই সম্মতি মেলেনি। তিনি মেনে নিয়েছেন পুলিশের গাফিলতি হয়েছে। সে কারণেই কেসটা এত বড় হয়েছে।’
এরপর পুলিশকে কিছুটা বিদ্ধ করেই জানান, ‘বাংলার পুলিশকর্তারা তো খুব ব্যস্ত। কেন্দ্রের কারও সঙ্গে দেখা করার সময় পান না। উনি যে দেখা করার সাহস দেখিয়েছেন এটা খুবই ভাল। তবে পুলিশের গাফিলতির কথা স্বীকার করাও বড় ব্যাপার। কারণ গাফিলতি মানলেই তাতে কাজ হবে। পুলিশ মহিলাদের কথা শোনেনি, গুরুত্ব দেয়নি। এ সবই আমি তাঁকে বলেছি। একইসঙ্গে পুলিশ আধিকারিকদের বদলির কথাও বলেছি। উনি সেটা গুরুত্ব সহকারে শুনেছেন।’
প্রসঙ্গত, এখনও অধরা সন্দেশখালির বেতাজ বাদশা শেখ শাহজাহান। তবে পুলিশের জালে ধরা পড়েছে উত্তম সর্দার, শিবু হাজরারা। কিন্তু, শাহজাহান কবে গ্রেফতার হবেন, সেই প্রশ্ন জোরালো হয়েছে। এই প্রসঙ্গে রেখা শর্মা জানান, তিনি শেখ শাহজাহানের গ্রেফতারির কথা বলেছেন রাজীব কুমারকে। এরই প্রেক্ষিতে রেখা শর্মা জানান, উনি তো বলছেন ওর বিরুদ্ধে কোনও প্রমাণই তো নেই। কীভাবে গ্রেফতার করব? ওনার মুখের অভিব্যক্তি, শরীরী ভাষা দেখে স্পষ্ট বোঝা গেল উনি চাপে আছেন। মাঝে কয়েকটা ফোন এল। তাতে আরও বদলে গেলেন তিনি। মনে হল তারপর থেকে চাপ যেন আরও বাড়ল। তবে উনি যখন গাফিলতির কথা মানছেন আমি ওনাকে আবার চিঠি লিখব। আশা করছি কাজ হবে।