বিএলও-র দায়িত্ব নিতে অনীহা, রিপোর্ট সিইও দফতরে

বুথ লেভেল অফিসার অর্থাত্ হিসেবে দায়িত্ব নিতে অনীহা নজরে আসছে রাজ্য সরকারি কর্মচারিদের, অন্তত সূত্রে খবর এমনটাই।যে কারণে প্রতিটি বুথের জন্য বিএলও এখনও পর্যন্ত  নিয়োগ  করা সম্ভব হয়নি। নির্বাচন কমিশনের পোর্টালে বিএলও হিসেবে এখনও পর্যন্ত রাজ্যের ৫০ হাজারেরও কিছু বেশি নাম নথিভুক্ত হয়েছে। এখনও পর্যন্ত ২৫ হাজারেরও  বেশি  বিএলও  নিয়োগ করা যায়নি। এদিকে  রাজ্যে বর্তমানে ৮০ হাজার ৬৮১টি বুথ রয়েছে। সূত্রে এ খবরও মিলছে, অনেকেই বিএল ও হিসাবে নিয়োগ পত্র নিতে চাইছেন না, এমনই তথ্য মিলছে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতরের তরফ থেকে।

নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, রাজ্য  স্পেশাল  ইনটেন্সিভ  রিভিশন  অর্থাত্ এসআইআর হলে বিএলওদের  গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব থাকবে। সেখানে আবার সরকারি কর্মী থেকে শুরু করে  স্থায়ী  শিক্ষক হলে তবেই তাঁরা বিএলও হিসাবে নিয়োগপত্র পাবেন। ইতিমধ্যেই এ ব্যাপারে জেলায় জেলায়  নির্দেশিকাও  পাঠিয়েছে  নির্বাচন কমিশন। সঙ্গে এ হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয়েছে বিএলও হিসেবে দায়িত্ব না নিলে নেওয়া হবে আইনানুগ ব্যবস্থা।

অন্যদিকেনির্বাচন কমিশনের তরফ থেকে জানানো হয়েছে বিএলওদের অব্যাহতি দেওয়ার ক্ষমতা একমাত্র মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতরের হাতেই রয়েছে। বুথ লেভেল অফিসারদের দায়িত্ব নিয়ে জেলাশাসকদের ফের কড়া বার্তা রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের। কাউকে বিএলও –এর দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া যাবে না। আর কোনও কারণে কাউকে অব্যাহতি দিতে হলে নির্বাচন কমিশনের অনুমতি নিতে হবে, এমনই সিইও-র তরফ থেকে কড়া বার্তা দেওয়া হয়েছে জেলাশাসক তথা ডিস্ট্রিক্ট ইলেকশন অফিসারদের।

ইতিমধ্যেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছেইআরও নেটে যেসব বিএল ওর নাম তোলা হয়েছে তা অপরিবর্তিত থাকবে। যদি কারও নাম বাদ দিতে হয় উপযুক্ত তথ্যসহ আবেদন কমিশনে পাঠাতে হবে। কমিশন খতিয়ে দেখবে আবেদনকারী বি এল এর দায়িত্ব পালন করতে শারীরিকভাবে কতটা অপারগ। এছাড়াও, অন্য কোনও আইনি সমস্যা রয়েছে কি না সেটাও দেখবে। নিশ্চিত হলে তবেই ছাড় দেওয়ার অনুমতি পেতে পারে।

এদিকে  বিএলওদের ওপর রাজনৈতিক চাপ তৈরি হচ্ছে বলেও অভিযোগ উঠছে। আর সেই কারণেই একাধিক  বিএলও তাদের কাজ করতে চাইছেন না বলেই সিইও দফতরে রিপোর্ট আসছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

18 + 13 =