বিধাননগরে পার্কিং চক্রের জেরে নাজেহাল অফিসযাত্রী থেকে এলাকাবাসী

সল্টলেকে ফের পার্কিং নিয়ে সামনে আসছে বিস্তর অভিযোগ। টাউনশিপ এলাকাগুলির পাশাপাশি সল্টলেকের অফিস পাড়াগুলিতেও সক্রিয় পার্কিং চক্র। এই পার্কিং চক্রের জেরে নাজেহাল নিত্যদিন যাঁরা যাতায়াত করেন সিটি সেন্টার, ইস্টার্ন জোনাল কালচারাল সেন্টার বা ইজেডসিসি এবং সেক্টর ফাইভে।

সল্টলেকে সাধারণত যে সব গাড়িচালকরা আসেন তাঁদের অভিযোগ, গাড়ি পার্কিং নিয়ে প্রতিনিয়ত তাঁদের দালালদের খপ্পরে পড়তে হয়। বিধাননগর পুরসভার কোনও পরিচয়পত্র ছাড়াই গাড়ি চালকদের থেকে পার্কি ফি নেয় দালালরা। এদিকে প্রধান রাস্তা ও ফাঁকা প্লটগুলিতে সল্টলেকের অধিকাংশ পার্কিং জোন রয়েছে। এরমধ্যে অনেকগুলি পার্কিং লটকে অনুমোদন দিয়েছে বিধাননগর পুরসভা। বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থাগুলিকে পার্কিং লটগুলি লিজে দিয়েছে বিধাননগর পুরসভা।

সূত্রে এ খবরও মিলছে বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেটের তরফে যে এলাকাগুলিতে ‘নো পার্কিং’ বোর্ড লাগানো হয়েছে, সেখানেও দেদার বেআইনি পার্কিং ব্যবসা চালাচ্ছে দালালরা। আর এই সব জায়গায় পার্কিং করতে সল্টলেকের বাসিন্দা ও অফিসযাত্রীদের থেকে চড়া হারে পার্কি ফি নেওয়া হচ্ছে।

এদিকে বিধাননগর পুরসভা সূত্রে খবর, দালালরা বেআইনিভাবে পার্কিং ফি আদায় করছে। বিধাননগর পুরসভা সূত্রে খবর, দু’চাকার জন্য ঘণ্টায় ১০ টাকা চারচাকার জন্য ঘণ্টায় ২০ টাকা পার্কিং ফি বরাদ্দ করা হয়েছে। সেখানে কলকাতা পুরসভা এলাকায় সকাল ৭টা থেকে রাত ১০ অবধি দু’চাকার জন্য ঘণ্টায় ৫ টাকা চারচাকার জন্য ঘণ্টায় ১০ টাকা নির্ধারিত। বাস্তবে ছবিটা কিন্তু তা নয়, যা দাবি করা হচ্ছে বিধাননগর পুরসভার তরফ থেকে। সল্টলেক সিটি সেন্টারের নিকটবর্তী এলাকায় দালালরা চারচাকা গাড়ির জন্য ঘণ্টায় ৩০ থেকে ৪০ টাকা পার্কিং ফি আদায় করছে। সেক্টর ফাইফের অবস্থাও খানিক একই।

এই প্রসঙ্গে বিধানগর পুরসভার মেয়র কৃষ্ণা চক্রবর্তীও জানান, ‘অভিযোগ এসেছে, কিন্তু এখনও কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তবে খুব তাড়াতাড়ি এই নিয়ে পুলিশের সঙ্গে আলোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করা হবে। অভিযোগ নিশ্চয়ই খতিয়ে দেখা হবে।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

four × 4 =