সমস্যার সমাধান। হোটেলে আর থাকতে হবে না। বউবাজারে দুর্গা পিতুরি লেনের বাসিন্দাদের ধাপে ধাপে বাড়ি ফেরানো হবে। এলাকায় মেট্রোর কাজ শুরু হচ্ছে নিশ্চিত ভাবেই। জল বেরনো পুরোপুরি বন্ধ। আর কোনও বাধা নেই বলেই জানা গিয়েছে।
প্রসঙ্গত, বউবাজারে দুর্গা পিতুরি লেনে ১১টি বাড়ি থেকে মোট ৫২ জন আবাসিককে হোটেলে সরানোর ঘটনায় উত্তপ্ত এলাকা। শুক্রবার সকালে মেট্রোরেল আধিকারিককে ঘিরে সেন্ট্রাল মেট্রো স্টেশনে চলে বিক্ষোভ। বিবি গাঙ্গুলি স্ট্রিট অবরোধ করে রেখেছিলেন স্থানীয়রা। এলাকা জুড়ে ব্যাপক উত্তেজনা, ধস্তাধস্তি চলে। টিকিট মেশিনের সামনে বসে পড়েছিলেন এলাকাবাসী। যাত্রীরাও ছিলেন সমস্যায়।
এরপরই কলকাতা মেট্রো রেলের তরফ থেকে জানানো হয়, দ্রুত এই সমস্যা মিটে যাবে। এরপর পর্যবেক্ষণের পর বাসিন্দারা বাড়ি ফিরে আসতে পারবেন। কিন্তু বাসিন্দাদের অভিযোগ, অগাস্টের ২৬ তারিখ তাঁদের হোটেলে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল কাজের জন্য। ২ তারিখ ফিরে আসার অনুমতি দেওয়া হয় সব ঠিক আছে বলে৷ কিন্তু বৃহস্পতিবার রাতে আবার জরুরি ভিত্তিতে বেরিয়ে যেতে বলা হয়। আর কতদিন এ ভাবে চলবে, ক্ষোভের সঙ্গে প্রশ্ন তাঁদের। সাংসদ, বিধায়ক থেকে রাজ্য সরকার, এলাকার বাসিন্দাদের কথা কেউই ভাবেনি, এমন অভিযোগও জানিয়েছেন তাঁরা। এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে কী বলছেন স্থানীয় কাউন্সিলর? তাঁর দাবি, ‘কে কী বলছে বলতে পারব না। তবে এটা বলতে পারি, এখানকার মানুষ খুব সমস্যায় আছে। বেশি কথা বলব না। কারণ কথা উপরের লোকের নজরে পড়তে হয়। এখানে রেল, রাজ্য সরকার থেকে প্রশাসন কেউ তো দায়িত্ব নেবে! আমি কাউন্সিলর আমার সীমিত ক্ষমতা।’
তিনি আরও জানান, বিধায়ক এসেছিলেন। কিন্তু বাড়ির ভিত নড়ে গিয়েছে, এটা কর্তৃপক্ষের দেখার কথা। রাজ্যেরও ভূমিকা থাকা উচিত। একই সঙ্গে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞ কমিটি যে রিপোর্ট দিয়েছে তা দিনের আলো দেখুক, আর্জি কাউন্সিলরের।