সিটু ইউনিয়নের অন্তর্গত এমার্জেন্সি সার্ভিস ১০২ অ্যাম্বুল্যান্স চালকদের রাজ্যজুড়ে ধর্মঘট হওয়ায় বুধবার অ্যাম্বুল্যান্স পেতে হয়রানির মুখে রাজ্যবাসী। বিভিন্ন দাবি দাওয়া নিয়ে ধর্মঘটে নেমেছেন সিটু ইউনিয়নের চালকরা। এদিন সকাল থেকেই নিউটনের অফিসের সামনে বিক্ষোভে সামিল হন অ্যাম্বুল্যান্স চালকরা ।
সিটু ইউনিয়নের ১০২ অ্যাম্বুল্যান্স চালকরা বুধবার দুপুরে মিছিল করে তাঁরা উপস্থিত হয সংস্থার নিউটাউন এর অফিসের সামনে। তাঁদের এই আন্দোলনের ফলে বুধবার সকাল থেকেই জেলায় ১০২ অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবার একটা বড় অংশই বন্ধ। তাঁদের মূল দাবি, চালক এবং তার সহযোগীদের বেতন বাড়াতে হবে। নির্দিষ্ট সময়সীমা বেশি ডিউটি করানো যাবে না। ডিউটি করলে অতিরিক্ত সময়ের বেতন দিতে হবে। তাঁদের আরও অভিযোগ, বিভিন্ন অনৈতিক কারণে ২৬ জন অ্যাম্বুল্যান্স ড্রাইভার এবং তার সহযোগীদেরকে বসিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাঁদেরকে অবিলম্বে চাকরিতে বহাল করতে হবে। এছাড়াও ঝুঁকিপূর্ণ কাজের জন্য অ্যাম্বুল্যান্স চালকদের ক্ষয়ক্ষতি এবং মৃত্যু হচ্ছে। সেই ব্যাপারে কর্তৃপক্ষকে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।
চালকদের আরও অভিযোগ, বেসরকারি সংস্থা জিভিকে গ্রিন হেলথ সার্ভিসেস, ড্রাইভারদের নিযুক্তের সময় ১৫০০০ টাকা ট্রেনিং ফি বাবদ নিলেও তাঁদের আলাদা কোন ট্রেনিং দেওয়া হয় না। এরকম একাধিক দাবি-দাওয়া নিয়ে আন্দোলনের পথে আজ সকাল থেকেই অ্যাম্বুল্যান্স চালক ও সহযোগীরা।
উল্লেখ্য, ১০২ ডায়াল করে অ্যাম্বুল্যান্স ডাকার মাধ্যমে শিশু ও প্রসূতিদের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। প্রসূতি ও শিশুমৃত্যু চিকিৎসার জন্যেই এই ব্যবস্থা রাজ্যে চালু রয়েছে বহুদিন ধরে। তবে সম্প্রতি দুর্ঘটনা বা হার্ট অ্যাটাকের মতো আক্রান্তকে আচমকা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার দরকার পড়লে আপৎকালীন অ্যাম্বুল্যান্স সার্ভিসের জন্য ১০৮ ডায়ালের বন্দোবস্ত হয় রাজ্যে।
রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে, নতুন বছরের শুরুতেই রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরে পরিবহণ শাখা এই পরিষেবা চালুও করেছে। প্রথম দফায় সারা রাজ্য জুড়ে ১১০টি এরকম ধরনের অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা চালু করা হয়েছে। আগামী দিনে প্রয়োজনের ভিত্তিতে ১০৮ ডায়াল করে এই গাড়ির সংখ্যা বাড়ানো হবে বলে জানা গিয়েছে। ১০৮ ডায়ালে নিঃখরচায় অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে। এই পরিষেবা চালু হওয়ায় অনেক মানুষের সুবিধা হবে বলেই ধারণা। নতুন এই গাড়ির মধ্যে ভেন্টিলেটর, এমনকী রক্তসঞ্চালনের ব্যবস্থাও থাকবে বলে জানানো হয়েছে।