লাউড স্পিকার ব্যবহারের ক্ষেত্রে জারি হল বিধি নিষেধ

মাঝে আর মাত্র ৯ দিন। এরপরই পঞ্চায়েত ভোট। তবে নির্বাচনী প্রচারে রাজনৈতিক দল, প্রার্থীদের লাউডস্পিকার ব্যবহারে নির্বাচন কমিশনের তরফ থেকে জারি হল বিধি। লাউডস্পিকার নির্বাচনী প্রচারের অন্যতম মাধ্যম হলেও উচ্চ মাত্রায় তা বাজানো যাবে না যা সাধারণ মানুষের শান্তি বিঘ্নিত করে বা জনসাধারণ থেকে অসুস্থ মানুষ এবং বিশেষ করে ছাত্রসমাজের বিরক্তির কারণ হয়। সকাল থেকে প্রচারের কাজে ব্যবহার হলেও রাত ১০টার পর বাজানো যাবে না লাউড স্পিকার। নির্ধারিত সময়ের পরে ব্যবহার করা হলে লাউডস্পিকারের সঙ্গে সংযুক্ত সমস্ত যন্ত্রপাতি বাজেয়াপ্ত করা হবে। পাশাপাশি এও জানানো হয়েছে, রাজনৈতিক দল, প্রার্থী এবং অন্যান্য ব্যক্তিরা চলন্ত যানবাহনে বা একটি নির্দিষ্ট স্থানে লাউডস্পিকার ব্যবহার করলে উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে আগে থেকে অনুমতি নিতে হবে।

কমিশন সূত্রের খবর, এ বারের পঞ্চায়েত ভোটে বুথের সংখ্যা ৬১ হাজার ৬৩৬। ইতিমধ্যেই রাজ্যের বেশকিছু জেলায় কেন্দ্রীয় বাহিনী রুটমার্চ শুরু করছে। রাজ্যের ২২টি জেলার মধ্যে সবচেয়ে বেশি বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে মুর্শিদাবাদ৷ এখানে মোট ২৭ কোম্পানি বাহিনী বরাদ্দ হয়েছে৷বাঁকুড়ায় মোতায়েন হয়েছে ২৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী৷ তারপরে উত্তর ২৪ পরগনা৷ এখানে মোতায়েন ২৩ কোম্পানি বাহিনী৷ এছাড়াও, বীরভূম, দক্ষিণ ২৪ পরগণা, নদিয়া, পুরুলিয়াতেও নিরাপত্তায় বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। পঞ্চায়েত ভোটে প্রতিটি বুথেই সিসিটিভি লাগাতে হবে। যেখানে সিসিটিভি থাকবে না সেখানে ভিডিওগ্রাফি করতে হবে, এমন নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের। কমিশন সূত্রের খবর, এ বারের পঞ্চায়েত ভোটে বুথের সংখ্যা ৬১ হাজার ৬৩৬। বহু বুথে নজরদারির জন্য সিসিটিভি বসাতে প্রযুক্তিগত সমস্যা রয়েছে। এ ছাড়াও এত বিপুল সংখ্যক সিসিটিভি ভাড়ায় সংগ্রহ করা কতটা সহজ হবে তা নিয়েও কমিশন চিন্তিত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

3 − 1 =