আরজি কর মামলার নয়া অভিমুখ। আদালতে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য় পেশ করল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। সূত্রের খবর, রবিবার আদালতে রিপোর্ট দিয়ে সিবিআই জানায়, ‘সিন অব ক্রাইম’ বা অকুস্থল থেকে নমুনা ও বায়োলজিকাল স্যাম্পেল সংগ্রহ করা হয়। সেগুলি সিল করার কোনও ভিডিয়োগ্রাফি হয়নি।
আর এখানেই সিবিআই মনে করছে, এভাবে আসলে অভিযুক্ত বা সন্দেহভাজনদের সুবিধা পাইয়ে দেওয়া হয়েছে। সিবিআইয়ের অনুমান এটা পরিকল্পিত। অন্য সম্ভাব্য অভিযুক্তদের সঙ্গে মিলে ষড়যন্ত্র করা হয়েছে। তদন্তের মোড় ঘোরানোর জন্য এটা করা হয়েছে বলে অনুমান তাদের।
সূত্রের দাবি, সিবিআই আদালতকে দেওয়া রিপোর্টে উল্লেখ করেছে, প্রথম জিডিতে (নম্বর ৫৪২) হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে ষড়যন্ত্র করে ইচ্ছাকৃত ভুল তথ্য দেওয়া হয়। লেখা হয়েছিল, ‘চেস্ট মেডিসিন বিভাগের সেমিনার রুমে পিজি ট্রেনি ডাক্তারের সংজ্ঞাহীন দেহ পড়ে রয়েছে।’ যদিও ততক্ষণে ডাক্তার পড়ুয়ার দেহ পরীক্ষা করে দেখা যায়, ওই ছাত্রী মারা গিয়েছে।
শুধু তাই নয়, সিবিআই রিপোর্টে জানা গেছে, ধৃত অপরাধ করেছে জানার পরও যে পোশাক পরে অপরাধ করেছে সেগুলি উদ্ধার করতে অকারণ দু’দিন দেরি করেছে পুলিশ। এক্ষেত্রে টালা থানার ওসির ভূমিকা সন্দেহজনক সিবিআইয়ের কাছে। অসৎ উদ্দেশ্য নিয়ে তদন্ত শুরু করা হয়েছে যাতে এই মামলার গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ও প্রমাণ নষ্ট হয়, বলে মনে করছে সিবিআই।