চলছিল স্বতঃস্ফূর্ত প্রতিবাদ। একে একে জড়ো হচ্ছিলেন সাধারণ মানুষ। বিচারের দাবিতে উঠছিল স্লোগান। রাত ১২ টার কিছুক্ষম পর আচমকাই বদলে গেল আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের পরিস্থিতি। হঠাৎ ব্যারিকেড ভেঙে ঢুকে পড়ল একদল লোক। তারপর চলল অবাধ ভাঙচুর। পুলিশকে লক্ষ্য করে এগিয়ে গেল এই আগন্তুকের দল। মুহূর্তে পরিস্থিতি এতটাই ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠে যে প্রাণভয়ে পালাতে শুরু করে পুলিশ। কার্যত দৌড়ে পালিয়ে প্রাণে বাঁচান তাঁরা। প্রতিবাদের রাতে কারা এভাবে হামলা চালাল তা নিয়ে এখন প্রশ্ন উঠেছে সর্বস্তরে।
বৈদ্যুতিন মাধ্যমের একাধিক প্রতিনিধি হাসপাতাল চত্বরে উপস্থিত থাকলেও তাঁরা কার্যত ছিটকে যান এক এক দিকে। ভেঙে দেওয়া হয় ক্যামেরা। প্রাণভয়ে চিকিৎসকেরাও যে যেদিকে পারেন পালিয়ে যান।
অভিযোগ, যে দুষ্কৃতীরা এই ভাঙচুর চালাল, তাঁরা কেউ উপস্থিত ছিলেন না মিছিলে। কোথায় থেকে মাঝরাতে ছুটে এলেন কারা তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। কী উদ্দেশ্য ছিল তাদের প্রশ্ন উঠেছে তা নিয়েও।
এই ঘটনার পর আরজি কর হাসপাতালের চেহারা রণক্ষেত্রের উত্তর পর্বের মতোই। নজরে আসে উল্টে রয়েছে পুলিশের গাড়ি। উল্টে পড়ে আছে বাইক। আরজি করের এমার্জেন্সি বিভাগ কার্যত ধ্বংসস্তূপের চেহারা নিয়েছে। ভিতরে থাকা চেয়ার, টেবিল, ফ্যান, আসবাব, কাঁচের জিনিস সব ভেঙে দেওয়া হয়েছে। এমার্জেন্সিতে আর চিকিৎসারর পরিস্থিতিই নেই। ভেঙে দেওয়া হয়েছে জরুরি বিভাগের বোর্ড। অভিযোগ, হাসপাতালের একের পর এক সিসিটিভিও ভেঙে দেওয়া হয়েছে। প্রশ্ন উঠছে, তবে কি প্রমাণ লোপাট করার চেষ্টা চলছে?