লালবাজার থেকে মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন রুদ্রনীল

শ্যামবাজার মোড়ে যেখানে ধরনা দেওয়ার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছিল বঙ্গ বিজেপির তরফ থেকে সেখান থেকেই পুলিশ আটক করেন রুদ্রনীল ঘোষকে। এদিন বেশ ক্ষোভের সঙ্গে রুদ্রনীল জানান,  ‘আমাদের আটকানোর জন্য যে পরিমাণ পুলিশ মোতায়ন করা হচ্ছে, যান চলাচল হচ্ছে না বলে যে মিথ্যে অভিযোগ করে তুলে দেওয়া হচ্ছে, তারমধ্যে ১ শতাংশ পুলিশ সেদিন যদি বোনটার পাশে দাঁড়াত, তাহলে মেয়েটা আজকে নাইট ডিউটি দিতো।’

লালবাজারে বসেই কথা বললেন রুদ্রনীল, বলেন, ‘লালবাজারে আছি। এখনও ছাড়েনি। আটক করেছে। তুলে নিয়ে যাওয়ার মতো সমস্যা হচ্ছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আইন। ভারতের সংবিধান বা পুলিশ খাতায় যে আইন চলে সেই আইন তো নয়। মানুষ রাত জাগছে, দিন জাগছে, উনি চিন্তায় পড়ে গিয়েছেন। মিছিমিছি মিছিল করলেন তাঁদের নিয়ে, যাঁরা এতদিন চুপ ছিলেন তাঁদের নিয়ে। উনি বলছেন বিচার চাই। উনিও নেমেছেন। বিচার তো উনিই না হতে দেওয়ার জন্য পরিকল্পনা করে আগেই আত্মহত্যার তত্ত্ব, রক্তাক্ত দেহ দেখে  বেআইনি ময়নাতদন্ত করেন সেই হাসপাতালেই যেখানে পুরো সিন্ডিকেটটা চালাতেন অরাজকতা, অন্যায়ের। তারপর বাবা-মাকে জানিয়ে দেওয়া আত্মহত্যার কথা। শুধু তাই নয়, ময়নাতদন্তেও কোনও হত্যা নয়, অস্বাভাবিক মৃত্যুর কথা বলে। যেখানে একটা বাচ্চা ছেলেও বুঝে যাবে এটা খুন।’

এরই পাশাপাশি অভিযোগের আঙুল তোলেন পুলিশ কমিশনরের দিকেও। বলেন,  ‘এই পুরোটাই পরিকল্পনা, আর এই পরিকল্পনায় বিনীত গোয়েল। পুলিশ কমিশনার, লক্ষ্মী ছেলের মতো শাসকের কথা শোনে। এই বিনীত গোয়েল তাঁর টিম মিলে তথ্যপ্রমাণ কীভাবে লোপাট করা যায় সেই চেষ্টা করে চলেছে। পশ্চিমবঙ্গের মানুষ বোকা নয়। তাই তাঁরা রাতে বেরিয়ে পড়েছিলেন ঝাণ্ডা নিয়ে, ঝাণ্ডা ছাড়া, মা-মেয়ে, বাবা-কাকা সব মানুষ ফুঁসছে। একজন কন্যা যে শ্রী হারিয়ে মারা গেল, বাকি কন্যাদের নিয়ে কন্যাশ্রী পালন করছেন কেক কেটে এব্ং বিরিয়ানি খেয়ে। কী কারণ,  সবাই জানে যে, তথ্য লোপাটের অঙ্ক হয়ে মেরেছে রাজ্য সরকার, প্রমাণ লোপাট করেছে রাজ্য সরকার। উচ্চ আদালত যখন রায় দিচ্ছে সিবিআই তদন্ত করবে, ঠিক সেই সময় পিডব্লিউডি ডিপার্টমেন্টকে দিয়ে পুরো প্রমাণ লোপাট করে দিতে সেমিনার রুমের আসপাশ, তার বাথরুম ভাঙা হয়েছে। যেখানে দুষ্কৃতীরা হাত মুখ ধুয়েছে, রক্ত ধুয়েছে, সেখানে হাত পড়ে গেল। সবকটাকে গ্রেফতার করতে হবে। মুখ্যমন্ত্রী, পুলিশ মন্ত্রী, স্বাস্থ্য মন্ত্রী।’

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

one × 3 =