হাইকোর্ট থেকে কড়া নির্দেশ আসার পরই রাজ্যে ছাত্রভোট নিয়ে শুরু হল বিশেষ তৎপরতা। প্রসঙ্গত, গত বৃস্পতিবার রাজ্যকে ছাত্রভোট নিয়ে চিন্তাভাবনা করার কথা বলেছে কলকাতা হাইকোর্ট। সঙ্গে নির্দেশ, ২ সপ্তাহের মধ্যে ছাত্র সংসদ ভোট নিয়ে অবস্থান জানাতে হবে রাজ্যকে। কারণ, ২০১৭ সালের পর কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনও কলেজে আর ছাত্র সংসদ নির্বাচন হয়নি। ২০২০–তে শেষবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে হয়েছিল নির্বাচন।ফলে সব মিলিয়ে আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই ছাত্র ভোটের সম্ভাবনা রয়েছে বলে সূত্রের খবর।
এদিকে তৃণমূল সূত্রে খবর, সাংগঠনিক প্রস্তুতিও নাকি শুরু হয়ে গিয়েছে শাসক দলের অন্দরে।চলতি বছর শেষ হওয়ার আগেই ছাত্র ভোটের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে টিএমসিপি।এদিকে এ ব্যাপারে ইতিমধ্যেই তৃণমূল ছাত্রপরিষদের কাছ থেকে এই বিষয়ে রিপোর্ট তলব করেছে তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব।রিপোর্ট তলবের পরই শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে জেলাওয়াড়ি রিপোর্ট পেশও করেছে ছাত্র সংগঠন।
সদ্য কসবা আইন কলেজে গণধর্ষণের অভিযোগ সামনে আসার পর নতুন করে ছাত্র ভোট নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে। শোনা যাচ্ছে, মনোজিত–কাণ্ড থেকে শিক্ষা নিচ্ছে টিএমসিপি। তাই ছাত্র নির্বাচনের আগে নতুন ইউনিট তৈরি করা হচ্ছে। এদিকে আগামী ২৮ অগাস্ট তৃণমূল ছাত্র পরিষদের জন্মদিন। তার আগেই সব অভিযুক্ত নেতাদের কলেজের ইউনিট থেকে সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে বলেও টিএমসিপি সূত্রে খবর।আর এই ২৮ অগাস্টের আগেই সব কলেজে নতুন ইউনিট চালু হবে। টিএমসিপি সূত্রে এ খবরও মিলছে, সেই ইউনিটে প্রথম বা দ্বিতীয় বর্ষের পড়ুয়ারাই কলেজের সভাপতি হবেন, তৃতীয় বর্ষের পড়ুয়ারা নয়। কলেজের টিএমসিপি সভাপতি হিসেবে ছাত্রীদের প্রাধান্য দেওয়া হবে। প্রত্যেক জেলায় একজন করে রাজ্য কমিটির অবজার্ভার নিয়োগ করা হবে। সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই ক্যামাক স্ট্রিটে পৌঁছেছে টিএমসিপি–র স্টেটাস রিপোর্ট।
এই প্রসঙ্গে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের রাজ্য সভাপতি তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্য বলেন, ‘আমি খুশি। আমি তো বারবার বলতাম ইউনিয়ন রুমের বাইরে রাজনীতি করতে হবে। ছাত্র–ছাত্রীদের আরও বেশি কাছে যাওয়া জরুরি। ভোট যেদিনই হোক, আমরা প্রস্তুত। প্রতিটি জায়গায় ভাল ফল করবে টিএমসিপি।’ এদিকে, বিজেপি নেতা শঙ্কুদেব পণ্ডা বলেন, ‘আসলে লোক দেখানো ছাত্র ভোট হবে। ইউনিয়ন রুমগুলিতে এতদিন অবৈধভাবে তাণ্ডব চলত, এবার বৈধভাবে চলবে।’