বুধবার সকালে গড়িয়াহাটে বন্ধের সমর্থনে রাস্তায় নেমেছিলেন রূপা গঙ্গোপাধ্যায়। বাসচালক ও যাত্রীদের কাছে তিনি অনুরোধ করছিলেন যাতে তাঁরা বন্ধকে সমর্থন করেন। দোকান বন্ধ করার অনুরোধও করেন। ‘যে অন্যায় হয়েছে তাঁর প্রতিবাদ করুন’, এমনভাবেই আবেদন জানাতে দেখা যায় বিজেপি নেত্রী রূপা গঙ্গোপাধ্যায়কে। পাল্টা ‘গো ব্যাক রূপা’ স্লোগানে ভরে ওঠে চারদিক। এর কিছু সময় পরেই রূপা গঙ্গোপাধ্যায়কে আটক করে পুলিশ। অন্যদিকে বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পালকেও গড়িয়াহাট থেকে গাড়িতে তুলে নিয়ে যায় পুলিশ। কলকাতা পুলিশের এই পদক্ষেপ ক্ষোভ উগরে দেন রূপা। বাস যাত্রীদের অনুরোধ করেন, ‘গুনুন কতজন পুলিশ আছে৷ মাত্র দশ মিনিট হেঁটেছি, তাতেই এই অবস্থা৷ একজন মহিলাকে এভাবে টেনে হিঁচড়ে নিয়ে যাচ্ছে এতজন পুলিশ।’
প্রসঙ্গত, আরজি কর-কাণ্ডের বিচার চেয়ে ডাকা নবান্ন অভিযানে উত্তপ্ত হয় পরিস্থিতি। কর্মসূচি ঘিরে ধুন্ধুমার কাণ্ড বাঁধে।পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ শুরু হয় আন্দোলনকারীদের। এরপরেই ‘পশ্চিমবঙ্গের ছাত্র সমাজ’-এর নবান্ন অভিযানে ‘পুলিশি সন্ত্রাস’-এর অভিযোগ তুলে বুধবার রাজ্যব্যাপী ১২ ঘণ্টার বন্ধের ডাক দেয় বিজেপি।
সকাল থেকেই বনধের মিশ্র প্রভাব পড়ে বাংলায়। রাস্তায় বাস-অটো চললেও ট্রেন চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে বারে বারে। বন্ধের সমর্থনকারীরা রেল লাইনের জায়গায় জায়গায় বিক্ষোভ দেখানোয় নাজেহাল নিত্যযাত্রীরা। একইদিনে উত্তেজনামূলক কথাবার্তা, অশান্তির চেষ্টার অভিযোগে আটক বিজেপি নেতা সজল ঘোষ।